দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট’ এ শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫০ |  আপডেট  : ৪ মে ২০২৪, ০৭:৪১

ভারতের উদ্যোগে আগামী সপ্তাহে ২০ জন অগ্রগণ্য বিশ্বনেতাকে নিয়ে যে ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি এই শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল উইকরামাসিংহেও এই সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ছাড়া অন্য সব দেশকে কোনও না কোনও পর্যায়ে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তবে তার সবগুলো সরকারপ্রধান পর্যায়ে নয়। 

‘গ্লোবাল সাউথ’ বলতে সাধারণভাবে বিশ্বের উন্নয়নশীল আর স্বল্পোন্নত দেশগুলো এবং যেখানে অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নয়নের হার তুলনায় কম, সেই দেশগুলোকেই বোঝানো হয়। যেহেতু ভৌগোলিকভাবে মূলত লাতিন আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা বা ওশেনিয়ার এই দেশগুলো আমেরিকা বা ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলোর দক্ষিণে অবস্থিত, তাই এই ধরনের নামকরণ। 

আমেরিকা-চীন-রাশিয়াসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনীতির জোট জি-টোয়েন্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশ ভারত, আগামী সেপ্টেম্বরে সেই জি-টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে (শেখ হাসিনা সেখানেও আমন্ত্রিত)– অনেকটা তারই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলতি মাসে এই ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট’ বা ভিজিএসএসের আয়োজন করা হয়েছে। 

ভারতের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ভিজিএসএসে বিশ্বনেতাদের মধ্যে যে আলোচনা হবে, তার নির্যাস পেশ করা হবে সামনে জি-টোয়েন্টির সামিটে। অর্থাৎ বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ অনুরূপ দেশগুলোর বক্তব্য তুলে ধরার একটি সুযোগ করে দিচ্ছে এই সামিট। 

আগামী সপ্তাহের সামিটে যে ২০ জন নেতা অংশ নিচ্ছেন তাতে নরেন্দ্র মোদি, শেখ হাসিনা ও রনিল উইকরামাসিংহে ছাড়াও থাকছে আফ্রিকার পাঁচটি দেশ (অ্যাঙ্গোলা, ঘানা, নাইজেরিয়া, মোজাম্বিক, সেনেগাল), আসিয়ান জোটের তিনটি দেশ (থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম) এবং উজবেকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাপুয়া নিউগিনির সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা। 

এদের মধ্যে সেনেগালের ম্যাকি স্যাল এই মুহূর্তে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান, থাইল্যান্ড আবার বিমসটেক জোটের চেয়ার। সুতরাং সবদিক থেকেই ধারে ও ভারে ভিজিএসএস বৈশ্বিক কূটনীতিতে একটি ছাপ রাখতে চলেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাটরা গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের ভারত সরকারের এই নতুন উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন।

দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেই সঙ্গেই বলছেন, ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ (প্রতিবেশীরা সবার আগে) বিদেশনীতির প্রধান স্তম্ভ বলা যেতে পারে বাংলাদেশকে– এবং আসন্ন জি-টোয়েন্টি সামিটে ও ভিজিএসএসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত