দশ লক্ষ টাকায়ও সুস্থ্য হয়নি হুজাইফা, পুনঃ অপারেশনে প্রয়োজন ৫ লক্ষ টাকা
প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২২, ২১:২৭ | আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৬
১১ মাসে দশ লক্ষ টাকা ব্যয় ও হার্টের অপরেশনের পরেও সুস্থ হয়নি ১৯ মাস বয়সী হুজাইফা ইসলাম। দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অবুঝ শিশুটি। বয়স ও শরীরের সাথে হার্টের বৃদ্ধি হচ্ছে না, উপরন্তু হার্টের ভাল্ব আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আবারও ওপেন হার্ট সার্জারির তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যার জন্য ব্যয় হবে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। এই অবস্থায় সন্তানের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন হুজাইফার বাবা বায়জিদুল ইসলাম সুমন।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চরকাঠি গ্রামের সুমন ও শারমিন হোসেন দম্পতির ঘরে ১৯ মাস আগে জন্ম হয় হুজাইফার। জন্মের সময় সুস্থ ও সবল ছিলেন হুজাইফা। আট মাস বয়সে হওয়া সর্দি না কমায়, শিশু বিশেষজ্ঞের দারস্থ হন হুজাইফার বাবা-মা। চিকিৎসক প্রথম দেখাতেই বুঝতে পারেন বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে খুলনা সিটি মেডিকেলে এ·রেসহ বিভিন্ন ধরণের ডায়গনোসিসে জানা যায় হুজাইফার হার্টে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। সিটি মেডিকেল থেকে দ্রুত ঢাকা নিতে বলা হয়। হার্ট ফাউন্ডেশনে নানা ধরণের পরীক্ষার নিরিক্ষার পরে, ওপেন হার্ট সার্জারী হয় হুজাইফার। এক মাস দশদিন আইসিইউ এবং লাইফ সাপোর্টে থেকে হাসপাতাল ছাড়েন হুজাইফা। এত দিনে হুজাইফার বাবার জমি ও গাছ বিক্রির ১০ লক্ষাধিক টাকা শেষ। ছেলের চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য ৮ মাস আগে বেসরকারি চাকুরীও ছেড়েছেন সুমন। এখন ছেলের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করা সুমনের পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
সুমনের প্রতিবেশী সাইদুল শেখ বলেন, ছেলেটার মুখের দিকে তাকানো যায় না। সব সময় মুখ কালো থাকে। ছেলের জন্য সুমনের পরিবারেরও সবার মন খারাপ থাকে। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সুমনরা আর্থিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাড়ির গাছ-মাঠের জমি সব বিক্রি করেছেন ছেলের জন্য। এখন আর সুমনদের তেমন কিছু নেই। সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়ালে শিশুটি বেঁচে যেত।
হুজাইফার বাবা বায়জিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ছেলেকে সুস্থ্য করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। চাকুরি ছেড়েছি, বাবার জমি বিক্রি করেছি। মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা গাছ বিক্রি করেছি। দিনের পর দিন হাসপাতালে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলে সুস্থ্য হয়নি। ছেলের কান্নায় রাতে ঘুম আসেনা। সমস্যা আরও গুরুত্বর হচ্ছে। কি হবে জানিনা। অপারেশনের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা লাগবে। কোথায় পাব এত টাকা। জমি-জিরাত যা ছিল, তাতো বিক্রি করেছি বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হুজাইফার বাবা সুমন।
অসুস্থ্য হুজাইফার মা শারমিন হোসেন বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি-বিক্রির পাশাপাশি প্রচুর ধার দেনা করেছি। তারপরও মানুষের কাছে হাত পাতিনি। কিন্তু এখন আর পারছিনা। কলিজার টুকরা হুজাইফার চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহর রহমত এবং মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই বলেন এই মা।
সুমনের পরিবারে হুজাইফা ছাড়াও সুমনের বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। হুজাইফাকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুণ বায়জিদুল ইসলাম সুমন-০১৯১১-৯২৫২২৪।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত