দরিদ্র জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত কাউনিয়ায় কোটি টাকার ২টি এক্স-রে মেশিন

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৯ |  আপডেট  : ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০০

জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। কাউনিয়া মেডিকেলে অপারেটরের অভাবে অচল পরে আছে কোটি টাকার মেশিন।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রায় সারে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১শর্য্যা বর্তমানে জনবল ছাড়া নামে মাত্র ৫০শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি দীর্ঘ ২০ অন্যটি ৭ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন ২টি শুধুমাত্র অপারেটরের অভাবে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এর ফলে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণ ও জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দরিদ্র জনগন বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে। সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে রোগি নিয়ে তাদের কাউনিয়া থেকে ২৫কিঃমিঃ দুরে রংপুর জেলা সদরে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় মকরে এক্স-রে করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে প্রথম এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের বছর খানেকের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েক বার ভাল করার চেষ্টা করা হয়েছে কিছু দিন চলে আবার নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মেশিনটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এরপর গত ৭বছর আগে আর একটি আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রদান করা হয় যা অপারেটরের অভাবে চালুই করাই সম্ভব হয় নি। 

বেশ কয়েক বছর ধরে প্যাথলজি চালান যাচ্ছে না। সাধারন মানুষের সাধারন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষাও এই হাসপাতালে হয় না। নার্সদের দূরদর্শিতার অভাবে হাসপাতালের রাস্তায় ডেলিভারির মতো ঘটনা ঘটে। সুইপারের অভাবে অপরিচ্ছন্নতা নিত্য দিনের। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পদাধিকার বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি মাননীয় এমপি মহোদয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে বিগত ৫বছরেও স্বাস্থ্য কমিটির কোন সভা হয়েছে কিনা তা কেউ জানে না। ফলে হাসপাতালের প্রকৃত সমস্যা গুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না এবং এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন জানান শুধু এক্স-রে মেশিন ২টি নয় দীর্ঘ দিন ধরে ইসিজি ম্যাশিন, রক্ত সংরক্ষনের রিফ্রেজেরেটর, ডিসটিলওয়াটার তৈরী মেশিন চালু করা যায় নি। হাসপাতালের নানাবিধ সমস্যার ব্যপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার জানান হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। এম্বুলেন্স এর সমস্যাটি বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি চেষ্টার ফলে পাওয়াগেছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স এর নানা সমস্যার কথা জেনেছি। মন্ত্রী মহদয় ও জেলা সমন্বয় মিটিংএ বিষয় গুলো সমাধানের জন্য তুলে ধরবো। 

উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সমস্য গুলো সমাধানের জন্য মন্ত্রী মহোদয় কে জানাব এবং উপজেলা পরিষদ থেকে যতটুকু করা সম্ভব সেটি করা হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে আধুনিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বলতে শোনা গেছে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছানোর অঙ্গিকার এ উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এলাকার সাধারন দরিদ্র জনগন দ্রুত এক্স-রে মেশিন ২টি চালু সহ অনান্য সমস্যা গুলো সমাধারন করে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত