তেতুঁলিয়ায় ডাকাতি পালানোর সময় ৫ ডাকাত সদস্য আটক

প্রকাশ: ২ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪০ | আপডেট : ৩ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৮

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় শনিবার রাতভর ডাকাত আতঙ্কে রাত অতিবাহিত করে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। পুলিশের সাথে স্থানীয়রাও রাতভর পাহাড়া দেন নিজ নিজ এলাকা।
এঘটনার আগে-পরে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ঘটে ডাকাতির দুইটি ঘটনাও। দীর্ঘ সময় অভিযান চালিয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকা থেকে ডাকাতচক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি হরিপুর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মকিমপুর আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর রহমান (৪০), পালানো শাহপুর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে আয়নাল হক (৩৮)।স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকার স্কুল শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে ডাকাতচক্রের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য। এক সময় ওই স্কুল শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে বেধে রেখে মারধর করা হয়। পরে বাড়িতে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় তারা। এ সময় টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই সারা জেলায় তা ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয় মানুষের মাঝে। এঘটনার পর ডাকাত ধরতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি রাতভর অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একাধিক টিম। পুলিশের সাথে স্থানীয় মানুষরাও লাঠিশোঠা নিয়ে পাহাড়া দেয় মহাসড়ক সহ নানা জায়গায়।ঘটনার পরে রোববার (২ মার্চ) সকালে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর এলাকায় তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড়গামী যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে ডাকাতচক্রের ওই ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।আক্রান্ত বাড়ীর কর্তা স্কুল শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। তাদের হাতে চাকু, ছোরাসহ দেশিয় অস্ত্র ছিলো। পরে তারা আমাদের হাত পেছনে ঁেবধে রেখে পুরো ঘর এলোমেলো করে ফেলে। ঘরে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় তারা। আমার স্ত্রীর কান ও হাত থেকে স্বর্ণালঙ্কার খুলে নেয়। সব মিলিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিলো। পাশের ঘরে আমার মেয়ে ছিলো। ওই ঘরের দরজা খুলতে পারেনি। আমার মেয়ে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের ফোনে জানিয়ে দিলে তারা ছুটে আসে। এ সময় পালিয়ে যায় ডাকাতরা। শিক্ষক বেলায়েত বলে ডাকাত দল পিকআপ নিয়ে এসেছিল। তাদের কারো মুখে কালো কাপড় ছিলো না। এখনো আমাদের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, ডাকাতচক্রের ৫ জনকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। এখনো আমাদের অভিযান চলছে। বিস্তারিত আগামীকাল জানানো হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত