ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ ভেসে উঠল নদীতে, নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২ মার্চ ২০২৫, ১৯:১৯ |  আপডেট  : ৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২

গণপিটুনির পর নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ভেসে উঠেছে। এই মরদেহ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪জনে। রোববার (০২ মার্চ) বিকালে মাদারীপুর সদর উপজেলা বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। 

 স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে একটি মরাদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার  করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদেন্তর জন্য প্রেরণ করেন। 
 স্থানীয় রুবেল জানান, আমি নদীতে হাত-পা ধুতে গেলে দেখি একটি লাশ ভাসছে পরে আমি লোকজনকে ডাক দিলে পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোকছেদুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা  একটা লাশ দেখতে পেযে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ধারনা করছি ডাকাতির ঘটনায় তিনি মারা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) রাতে ডাকাতি করতে এসে স্থানীয় গণপিটুনিতে নিহত হন দুই ডাকাত সদস্য। এতে স্থানীয়দের ডাকাতরা গুলি ছুঁড়লে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দিয়ে গণপিটুনি দিলে আহত হয় ৭ ডাকাত। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর-শরিয়তপুর দুই জেলার সীমানাবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতি করতে আসে একদল দুর্বৃত্ত। স্পিডবোটে অস্ত্র নিয়ে বালুবাহী জাহাজে ডাকাতির চেষ্টায় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা ফাটিয়ে দ্রæত সটকে পড়ার চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে ইটপাটকেল ছুঁড়লে ডাকাতরা এলাকাবাসীর উপর গুলি করে। এতে আহত হন অন্তত ৮ জন। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একাধিক ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের আবারও ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। পরে কীর্তিনাশা নদীর শরিয়তপুরের তেতুলয়িা এলাকায় গতিরোধ করে তাদের আটকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় ৭ ডাকাতকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শরিয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যায় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে একজন মারা যায়। এদের মধ্যে নিহত রিপনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরায়। অন্য দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত