টেপামধুপুরের বিশ্বনাথ গ্রামে প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত শিশুটির মৃত্যু

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২২, ১৯:৪৯ |  আপডেট  : ১০ মে ২০২৪, ১০:৫৮

কাউনিয়ায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ লোকজনের হামলায় আহত বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে আহত শিশু আনজুয়ারা খাতুন (১২) মারা গেছে। বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের আমজাদ হোসেনের কন্যা এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। এরআগে গত সোমবার টেপামধুপুর বিশ্বনাথ গ্রামে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

থানা ও স্থানীয়রা জানান গত সোমবার জমির বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন আঃ হামিজ ও তার আত্মীয় স্বজনদের উপর হামলা করে। প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের দিয়ে আঃ হামিজের ছেলে আমজাদ হোসেন কে মারপিট করতে থাকে। আমজাদ হোসেনের ১২ বছরে শিশু আঞ্জুয়ারা খাতুন এগিয়ে গিয়ে বাবাকে বাঁচাতে তাকে জড়িয়ে ধরে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন শিশু মেয়েটিকেও লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে শিশুটি জ্ঞান হারায়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথ গ্রামের আঃ হামিজের বসতভিটার কিছু অংশ প্রতিবেশী সাবেক মেম্বার আঃ হাকিম নিজের দাবি করে এক মাস আগে সীমানা নির্ধারণ করেন। সেই সঙ্গে জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলেন। এই সীমানা নিয়ে সন্দেহ হলে হামিজ ও তার স্বজনেরা গত সোমবার পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করতে যান। এতে হাকিম তার লোকজনেরা বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হাকিম তার লোকজনেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঃ হামিজ ও তার লোকজনের উপর হামলা করে। এতে হামিজসহ তার পক্ষের ৬জন এবং হাকিমের পক্ষের ৩জন আহত হন। পরে হামিজসহ তার পক্ষের ৬জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আঞ্জুয়ারা ও হামিজের স্ত্রী আমেনাকে (৫০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আর আঃ হামিজ (৫৫), তার ছেলে আমজাদ হোসেন (৩৩), সিনবাদ (২৬) ও আফজাল হোসেন (৩৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হামিজের চাচাতো ভাই সোলেমান বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন। 

কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বেগম বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত