টঙ্গীবাড়ীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ-পাঙ্গাসের পোনা
প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৭ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৮
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাছের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ ও পাঙ্গাসের পোনা। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধিকাংশ হাট-বাজারে এই মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে ।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না।
সরেজমিনে হাসাইল মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিদিন ভোর ৫ঃ৩০ মিনিট থেকে ৮ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত বেশির ভাগ আড়তই বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ ও পাঙ্গাসের পোনা । ছোট জাটকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকা আর পাঙ্গাসের পোনা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা কেজিতে।
সূত্র জানিয়েছেন, চাঁদপুরের মেঘনা, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা এই মাছ গুলো ধরে হাসাইল ও দিঘিরপাড়ের আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রলার দিয়ে প্রতিনিয়ত বড় ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে আসছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার হাসাইল, কামারখাড়া পাচঁগাঁও,বালিগাঁও,আলদি বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাট-বাজারে জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার গ্রামে গিয়ে ফেরি করে এই মাছগুলো বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই জাটকা শিকার করতে হয়।
হাসাইল আড়তের এক জাটকা ক্রেতা বলেন, বড় ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই কমদামে জাটকা ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতই এই বাজারে জাটকা পাওয়া যায়। উপার্জন কম তাই জাটকা কিনছি। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মত নিগার সুলতানা বলেন,মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের জাটকা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা যখন আরতগুলোতে অভিযান পরিচালনা করি তখন জাটকা বা পাঙ্গাসের পোনার দেখা মিলেনা।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রশাসন কে যদি জনগন সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের আইনের আওয়তায় আনতে সক্ষম হবো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত