জনবলের অভাবে চালু হচ্ছে না পঞ্চগড়ে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০ শযার হাসপাতালটি 

  মোঃকামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১৭:৪৪ |  আপডেট  : ১৭ জুন ২০২৪, ১৪:০৩

পঞ্চগড়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত ১৫০ শযার সম্প্রসারিত হাসপাতালের নতুন ভবন। কক্ষ ভেদে প্রায় ৫০ টির মতো চিকিৎসা সেবাদানে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ৯ তলার হাসপাতাল ভবনে।

বর্তমান উন্নত সেবারমান নিশ্চিত করতে এ হাসপাতালটিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্মাণ করা হয়েছে। সব কিছুই স্বংক্রিয় ও অত্যাধুনিক বলে জানান গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীগন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের উত্তর পূর্বপাশে যার অবস্থান। এটি ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে সংযোজিত করবে।

পঞ্চগড় জেলাটি দেশের সর্ব উত্তরে সীমান্ত ঘেঁষা জেলা। দিন দিন জনসংখ্যার সাথে বাড়ছে চিকিৎসার চাহিদা। নানা অপারেশন , সহ জটিল রোগিরাও আসছে প্রতিদিন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালটিতে। গলব্লাডার, ইউটেরাস, গলব্লাডার, হারনিয়া , নানা রকমের সার্জারীর রোগি আসে প্রতিনিয়ত।তবে যখাযথ চিকিৎসা সুবিধা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক/ বিশ্ষেজ্ঞ না থাকায় রোগিদের দিনাজপুর- ঠাকুরগাঁও অথবা রংপুর ঢাকা চলে যায়। তাই এ অঞ্চলে চিকিৎসা সেবায় অত্যাধুনিক এই সম্প্রসারিত ২৫০ শর্যায় উন্নীতকরন হাসপাতালটি চালুর দাবি উঠেছে।

পঞ্চগড় গনপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘‘আপগ্রেটেশন এন্ড রেনুভেশন পঞ্চগড় ডিস্ট্রিক হাসপাতাল ফরম ১০০ টু ২৫০ বেডস এট পঞ্চগড়’’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ অর্থ বছরে ১০ তালা ভবনের কাজ শুরু হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে ৯ তলা পর্যন্ত ভবনটি নির্মিত হয়েছে। ভবনটির নির্মান কাজ শেষ হয়েছে ২০২২ অর্থ বছরে।এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক ৫০ টি কক্ষভেদে সুবিধা রাখা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।

চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপকের জন্য রয়েছে ফায়ার হাইডেন সিষ্টেম বজ্রপাত নিরোধ ব্যবস্থা। বহির গমনের জন্য ৪টি সিঁিড়, প্রতিফ্লোরে ফায়ার ডোর লাইন, ৫০টি গাড়ি পার্কিং করার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড সুবিধা, র্সাবক্ষনিক গ্যাস সিস্টেম সুবিধা।এছাড়া চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে রয়েছে, আইসিই- সিসিই মহিলা লেবার ওয়ার্ড নরমালডেলিভারি ওয়ার্ড , পূরুষ সার্জারী ওয়ার্ড , মহিলা সার্জারী ওয়ার্ড, জেনারেল ওয়ার্ড, পুরুষ ও মহিলাদের স্কেনু ওয়ার্ড ,পাঁচটি অপারেশন (ওটি) থিয়েটার এবং আলাদা জরুরী অপারেশন (ওটি) থিয়েটার, দুটি সিটিস্কেন রুম, দুটি আল্ট্রাসোনোগ্রাম রুম, ছয়টি এনেসথেসিয়া রুম।বহু মাত্রিক অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে প্রস্তুত পুরো সম্প্রসারিত ২৫০ (উন্নীত) শযার আধুনিক সদর হাসপাতাল। ১৫০ শর্যার হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না দীর্ঘদিনেও।

পঞ্চগড় গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান সরকার বলেন এই ১৫০ শর্যার হাসপাতালটি সর্ম্পূনরুপে প্রস্তুত। এটি হস্তান্তরে আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে এটি বুঝিয়ে নিতে চিঠি দিয়েছি।

 এদিকে পঞ্চগড় সিবিল সার্জন ডা. মোঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান ‘ জনবল তো নাই। যদি প্রস্তুত হয়ে থাকে আমাকে গনপূর্ত বিভাগ চিঠি দিক।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত