জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় এমপি গোলাপের পরাজয়
প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১ | আপডেট : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৫
মাদারীপুর-৩ আসনে জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় আব্দুস সোবাহান মিয়া ওরফে গোলাপ এর পরাজয়ের মুল কারন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। মাদারীপুর ৩ আসনের হেভিওয়েট প্রাথী ছিলেন। তারই প্রতীদ্বন্দী হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন কালকিনব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংরক্ষিত আসনের এমপি অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম।কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদরের ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর -৩ আসন।
মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪০ জন, মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৪ টি, সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ১৯৬। যার মধ্যে বাতিল বলে গণ্য হয়েছে ২ হাজার ১৬৯টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪৫.২৬%।
এর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর -৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা মোসা.তাহমিনা বেগম পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬শ ৩৩ ভোট এবং বর্তান সাংসদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড আব্দুস সোবাহান মিয়া ওরফে গোলাপ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১ হাহার ৯শ ৭১ ভোট।
এ নির্বাচনে হেভি ওয়েট প্রাথী ড.আব্দুস সোবাহান মিয়া ওরফে গোলাপ তার অহংকার সেচ্ছারিতা ও জনগনের সাথে সম্পর্ক না থাকার কারনই দায়ী করছেন কালকিনির সাধারন ভোটাররা।
গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই উপজেলা আওয়ামী লীগকে দুভাগে বিভক্ত করে এক ভাগ তার নিজের আয়ত্বে নিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে কালকিনি জনপদকে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এবারও নৌকা প্রতীক পেয়ে তিনি মনে করেছেন এমনিতেই নির্বাচিত হবেন।যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে কালকিনিতে নির্বাচনী জন সভায় নৌকার পক্ষ্যে ভোট চেয়েছেন।তাইতো ফুরফুরা মেজাজে দাম্ভিকতা নিয়ে কালকিনি ডাসার উপজেলা চষে বেরিযেছেন, কিন্তু সাধারন ভোটাররা তার জবাব দিয়ে গোলাপের দুর্গন্ধ মুক্ত মাদারীপুর ৩ আসন গড়ে তোলার জন্য অধ্যাপিকা তামিনা বেগমকে জয়ী করে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন।
আব্দুস সোবাহান মিয়া ওরফে গোলাপ এর বিপর্যয়ের কারন সম্পকে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মাদারীপুর প্রেসক্লাব (একাংশ)এর সভাপতি গোলাম মাওলা আকন্দ জানান, ড.আব্দুস সোবাহান মিয়া গোলাপ এর বিপর্যয়ের মুল কারন হচ্ছে তিনি বিগত ৫ বৎসর এমপি হওয়ায় এলাকার জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল,তাছাড়া তিনি এ কয়বছরে সরকারী সাহায্য তার গ্রামের ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দেন নাই, এছাড়াও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটা অংকের টাকা খেয়ে যাদের মনোনয়ন দিয়েছিল তারা সকলেই পরাজিত হওয়ায় কথিত আছে গোলাপের বাগানে আনারস এর বাম্পার ফলন।তারপরও সে কিভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী আশা করেন এটা বোধগম্য নয়।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত