জনগণের চোখ এখন লৌহজং - তেউটিয়া ইউপি নির্বাচনের দিকে

  স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ: ৫ জুন ২০২২, ১৪:৫৮ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ০৩:২২

আগামী ১৫ জুন লৌহজং- তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী পরিবারের সন্তান বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ মামুন বেপারি ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম মাদবর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে যথাক্রমে মটর সাইকেল ও আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এ নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ তাদের সম্মানের লড়াই বলে মনে করছে। অপরদিকে বিএনপি নৌকা পরাজয়ের  জন্য তারা তাদের মত করে বিদ্রোহী যে কোন একজন প্রার্থীকে বেছে নেবার কৌশল অবলম্বন  করেছে।

এ প্রতিবেদক সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানতে পেরেছে  মুলত তিনটি প্রভাবশালী পরিবার— বেপারী পরিবার,  মোল্লা পরিবার, মাদবর পরিবারের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে নারাজ। কেউ বলির পাঠা হয়ে নির্বাচনি পরর্বতী সময়ে কারো জিংঘাংশার বলি হতে রাজী নন।  

এর আগে এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকটি আসন জিতেছে। তবে বিদ্রোহী জয়ীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। 

সার্বিক অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবস্থা তেমন সংহত নয়। লৌহজং মূল ইউনিয়ন ও তেউটিয়া মুল ইউনিয়ন পদ্মা নদী ভাংগনে বিলীন  হওয়ায় দুই ইউনিয়নের সমন্বয়ে  লৌহজং- তেউটিয়া ইউনিয়ন গঠিত। এই দুই ইউনিয়নের বহু নাগরিক বেজগাঁও, কনকসার ,  হলদিয়া সহ ঢাকায় ভোটার হওয়ায় প্রার্থীদের  একক কোন দৌরাত্ম্য  ভোটারদের মধ্যে নেই।  

আওয়ামী লীগ বিগত নির্বাচন হতে শিক্ষা নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার বলেন  দিনে আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগদান করে রাতে বিদ্রোহীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার লোক নেহায়েত কম নয়। নতুন ভোটার ও তরুন ভোটারদের একটা বিরাট অংশ বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে বলে তারা জানান।

 ২৫ জুন এই উপজেলায় নির্মিত পদ্মা, ব্রীজ উদ্বোধন করা হবে এ জন্য আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতারা এখন মাঠে। 

দীর্ঘদিন যাবত পদ পদবী বঞ্চিত নেতা কর্মীদের সাথে সবাই এখন এই নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করার জন্য একজোট হয়ে কাজ করছে। প্রতিদিন সভা সমাবেশ গণসংযোগ  করে চলেছেন।

অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বসে নেই। তারা তাদের কাজ ও পাল্লা দিয়ে করছেন। একটি সূত্র বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ী কে হয় তা বলা মুশকীল। দলে  নীতি নৈতিকতার বদলে অর্থ বিত্ত প্রভাব কে পুৃঁজি করে বিভিন্ন সময়ে দলের পদপদবী দেয়ায় বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য এখন শখের কড়াত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নির্বাচন হতে জয়-পরাজয় যা হোক  উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগকে তা আশ্বস্ত করতেই হবে, ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচনের আগে।

 স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি তার আইনগত বাঁধার কারণে সরাসরি মাঠে নেই, তবে  তিনি ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের পতাকা তলে সকলকে ইতোমধ্যে সমবেত করেছেন।

আগামীতে সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। ইতোমধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগ গঠনে তেমন দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন। 

এ নির্বাচনেও মিরাকল কোন ঘটনা ঘটতে পারে। পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতারা তাদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে মাঠে আছেন।  

আওয়ামীলীগ এবার,পদ্মাব্রীজ উদ্বোধনের আগে এ আসনটি উপহার হিসাবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে দিতে চান বলে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ একজোট হয়ে মাঠে আছে। ইতোমধ্যে  জেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাময়িক  বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে।  ভোটের হাওয়া কোন দিকে যায় বলা মুশকিল  ইতোমধ্যে  নৌকা প্রতিকের অফিসে অগ্নিসংযোগ নির্বাচনী হাওয়াকে উত্তপ্ত করেছে। আইন প্রয়োগকারী  সংস্হা সহ জনগনের চোখ এখন এই নির্বাচনী মাঠের দিকে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত