‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেক’ রাঙাতে পারলেন না তারা, তবুও হোঁচট!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৫৬ |  আপডেট  : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮

আজ থেকে ৪ বছর আগে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে দলে ভিড়িয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পিএসজি। এবার গ্রীষ্মকালীন দলবদলে বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকেও দলে ভেড়ালো তারা। 

বলতে গেলে বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ত্রয়ী এখন ফরাসি ক্লাবটির দখলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার দিবাগত রাতে বেলজিয়ান দল ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে মাঠে নামে বর্তমানে বিশ্বের সেরা ত্রয়ী মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে (এমএনএম)।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকে নিজের ছায়া হয়ে থাকলেন লিওনেল মেসি। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেও যেন খুঁজে ফিরলেন নিজেদের। আন্দের এররেরার গোলে অবশ্য এগিয়ে যায় তারা, কিন্তু নিজেদের মাঠে উজ্জীবিত ফুটবল খেলা ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।

প্রতিপক্ষের মাঠে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-১ ড্র করেছে পিএসজি। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। এররেরা পিএসজিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্রুজকে সমতায় ফেরান হান্স ফানাকেন।

সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের তিনজনকে নিয়ে সাজানো পিএসজির আক্রমণভাগ পারেনি আগ্রাসী ফুটবল খেলতে। প্রতিপক্ষের বক্সে ও বক্সের বাইরে ভুগতে দেখা গেছে নেইমার, এমবাপে ও মেসিকে।

দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর দলটির আক্রমণভাগ যেন গুটিয়ে যায় আরও। শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা চালালেও গোল পাননি মেসি; রাঙাতে পারেননি নতুন দলের হয়ে ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেক’।

বলের নিয়ন্ত্রণে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য করে ব্রুজ। প্রথমার্ধে চার শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখা সফরকারীরা এগিয়ে যায় পঞ্চদশ মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এমবাপে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে বক্সে কাটব্যাক করেন। নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন এররেরা।

২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু চকিত মুভে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মেসির পাসে এমবাপে পা ছোঁয়ালেও দারুণ সেভ করেন গোলরক্ষক সিমোন মিনোলে।

এ অর্ধে আট আক্রমণের চারটি লক্ষ্যে রাখা ব্রুজ সমতার উচ্ছ্বাসে মাতে ২৭তম মিনিটে। এদুয়ার্দ সোবোলের পাসে ফানাকেনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

২৯তম মিনিটে মেসির শট ক্রসবারের উপরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়। এরপর বিরতির আগ পর্যন্ত পিএসজিকে রীতিমতো চেপে ধরে বেলজিয়ামের দলটি। ৩৩তম মিনিটে ফানাকেনের ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান নাভাস। ৩৯তম মিনিটে দে কেটলারার কোনাকুনি শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে আবারও পিএসজির ত্রাতা কোস্টারিকার এই গোলরক্ষক।

জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম ও লেয়ান্দ্রো পারেদেসকে তুলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইউলিয়ান ড্রাক্সলার ও দানিলোকে নামান পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। কিন্তু লিগ ওয়ানের দলটির খেলায় ফেরেনি ছন্দ। বরং তাদের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে ব্রুজ।

৪৯তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় পিএসজি। সতীর্থের ছোট পাসে জ্যাক হেনরির শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। একটু এদিক-ওদিক হলে হতে পারত গোল।

এরপরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে; বদলি নামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দি। প্রথমার্ধে একবার প্রতিপক্ষের ট্যাকলে চোট পেলেও চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান এমবাপে। কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতের পর আর পারেননি তিনি।

৮০তম মিনিটে সতীর্থের পাস পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মেসি; কিন্তু বল উড়ে যায় বেশ বাইরে দিয়ে। বাকি সময়ে এক-দুইবার হানা দিয়েছিলেন রক্ষণে, কিন্তু পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষা নিতে।

শেষের বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ব্রুজের গ্যালারি। হোঁচট খেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতাটির ২০১৯-২০ মৌসুমের রানার্সআপ পিএসজি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত