চীনে নতুন অত্যাধুনিক রাডার আবিষ্কার, আটকাবে স্টিলথ যুদ্ধবিমান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৪ |  আপডেট  : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৬

চীন নতুন অত্যাধুনিক রাডার আবিষ্কার করেছে। এই রাডার স্টিলথ যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম। প্রযুক্তির চোখ ফাঁকি দিয়ে চলা এসব যুদ্ধাস্ত্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হওয়ায় রাডারটিকে ‘টার্মিনেটর অব ড্রোনস’ নামে ডাকা হচ্ছে। এই আবিষ্কার অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে চীনের পারদর্শিতা বিশ্বের কাছে প্রকাশ পেল।

চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের বরাতে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নানজিংয়ে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গত শনিবার ছিল এই আয়োজনের শেষ দিন। এ প্রদর্শনীতে সহজে বহনযোগ্য ও বহুমুখী সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রাডারটি প্রদর্শন করে চীনের সেনাবাহিনী। মাটির কাছাকাছি দিয়ে উড়ন্ত কোনো ক্ষুদ্র ও ধীর লক্ষ্যের আকাশযান শনাক্তের বিশেষ সক্ষম। রাডারটি একজন সেনাও বহন করতে পারবে। স্টিলথ যুদ্ধবিমান বিদ্যমান যেকোনো রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে পারত। এখন হয়তো চীনের নতুন রাডারে ধরা পড়বে যুদ্ধযানটি।

ওয়াইএলসি–৪৮ নামের এ রাডারটি তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশনের (সিইটিসি) ১৪তম রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, রাডারটিতে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সব ধরনের হালকা ওজনের অস্ত্রের ওপর বসানো যায়। যেকোনো আবহাওয়ায় এটি কাজ করতে পারে। দ্রুত মোতায়েন কিংবা প্রত্যাহার করার সুবিধা রয়েছে এতে। এ ছাড়া যেকোনো কোণ থেকে ধাবমান কোনো বস্তুকে শনাক্ত ও অনুসরণ করতে পারে রাডারটি।

অত্যাধুনিক এই রাডারের জন্য অ্যান্টি–ইউএভি ডিফেন্স সিস্টেম (এইউডিএস) নির্মাণ করেছে। এটা সংবেদনশীল এলাকায় চীনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। নানজিং সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো এস–ব্যান্ড থ্রিডি টিডব্লিউএ নামে আরেক অ্যান্টিড্রোন রাডার সিস্টেম প্রদর্শন করে চীন। বলা হয়েছে, এটি একটি নিম্ন উচ্চতার নজরদারি রাডার, যা স্বল্প উচ্চতায় উড়ে যাওয়া যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান কিংবা ছোট্ট ড্রোনের উপস্থিতি অনায়াসে শনাক্ত করতে পারে।

করোনা মহামারির মধ্যেও জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, হংকং, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিং বিরোধে জড়িয়েছে। গত বছর তাইওয়ানের কাছে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবে নিয়েছিল চীন। এমন নানা হুমকির জেরে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিয়েছে দেশটি।

গত কয়েক সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করে মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে নিয়মিত যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছে বেইজিং। প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়িয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে উপস্থিতি বাড়িয়েছে দেশটি। এর প্রতিক্রিয়ায় জাপান, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানকে নিয়ে বিতর্কিত এ জলসীমায় যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত