চীনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন শি জিনপিং

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ |  আপডেট  : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি এই আহ্বান জানান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সেনাবাহিনীর বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার কয়েকদিন পর জিনপিংয়ের এই আহ্বান সামনে এলো।

চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচারকারী সিসিটিভি অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্সের একটি ব্রিগেড পরিদর্শন করার সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার এই মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে “বিস্তৃতভাবে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করা উচিত (এবং) নিশ্চিত করা উচিত যে, সৈন্যদের দৃঢ় যুদ্ধের সক্ষমতা রয়েছে”।

তিনি আরও বলেছেন, সৈন্যদের অবশ্যই “তাদের কৌশলগত প্রতিবন্ধকতা এবং যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”

চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দাবি করে থাকে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্ব-শাসিত এই দ্বীপের চারপাশে বেইজিং তার শক্তি প্রদর্শন ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করতেও অস্বীকার করবেন না।

সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীনের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই “দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা এবং মূল স্বার্থ রক্ষা করতে হবে”।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। দ্বীপটি দক্ষিণ পূর্ব চীনের উপকূল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০০ মাইল।  

তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। কিছু পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি তাইওয়ানের দখল নিতে পারে তাহলে চীন প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে অবাধে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে এবং সেটা আরও দূরে গুয়াম ও হাওয়াইতে যে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিগুলো আছে - সেগুলোর জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।

তবে তাইওয়ান মনে করে তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের নিজস্ব সংবিধান রয়েছে এবং রয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। ১৯৪৯ সালের পর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

সূত্র - এএফপি

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত