ঘূর্ণিঝর মোখা এবং তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ১১:১২ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪
ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডব শেষ, মহাবিপদ সংকেতও আর নেই। তবে পিছনে রেখে গেছে ধ্বংসস্তূপ। শুধু সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একজন আহত ছাড়া আর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ আর শাহ পরীর দ্বীপের মানুষেরা। বিশেষ করে গরীব ও নিম্নবিত্তদের কাঁচা ঘরবাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। সবমিলিয়ে ঝড়ের প্রভাবের শিকার হয়েছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার মানুষ। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা যেখানে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, সেই রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিতওয়ে শহরে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধী সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ে ইরাবতী এবং মান্দালায়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয় বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইমরান। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয় সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ ঘিরে। সেন্ট মার্টিনে ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টি ও বাতাস দুটোই কমে আসতে করলে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত