গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধিতেও গৃহস্থালির সংকট কাটেনি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৭ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫

ফাইল ছবি

সরবরাহ বৃদ্ধির পরও গৃহস্থালিতে কাটছে না গ্যাসের সংকট। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু এতেও রমজানের শুরুতে গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ করছেন গৃহিনীরা। কেউ কেউ বলছেন, রোজায় তাদের ইফতার তৈরির সময় টান পড়ছে গ্যাসে

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার সম্প্রতি বলেন, গ্রীষ্ম মোকাবিলায় এলএনজির সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। আগামী জুন অবধি যে পরিকল্পনা সেটি তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি দিন গ্রিডে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হবে।

আজ (২৭ মার্চ) গ্রিডে সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৮৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এখনও লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রায় ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি প্রয়োজন। তবে গত সপ্তাহে সরবরাহ আরও ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি ছিল। কিন্তু এরপরও রান্নাঘরে স্বল্প আচেঁর অভিযোগ তুলেছেন গৃহিনীরা।

ঢাকা আর ঢাকার আশেপাশে এমন ২৮ লাখের মতো তিতাস গ্যাসের গ্রাহক রয়েছেন, যারা রান্নায় পাইপ লাইনের গ্যাসকেই ভরসা বলে মনে করেন। কোনও কোনও এলাকার গ্রাহক পড়েছেন বিপত্তিতে। স্বীকার করলেও তিতাসের কোনও কর্মকর্তাই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে নারাজ।

তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানা আর বিদ্যুতে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন যদি বিঘ্নিত হয় তাহলে সেটি সকলের জন্য সুখকর হবে না। তবে আর একটু গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হলে গৃহস্থালিতেও সংকট থাকতো না। এই কর্মকর্তা বলছেন, বিষয়টি নির্ভর করছে পেট্রোবাংলার ওপর। সরকারের তরফ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার নির্দেশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সমস্যা, ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্রাহক। শুক্রাবাদ, রায়েরবাজার, মুগদা, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, লালমাটিয়ায় গ্যাসের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।

ধানমন্ডি থেকে রেহেনুমা আরজুমান বলেন, ‘আমার এখানে গ্যাসের অনেক সমস্যা হচ্ছে। দুপুরের পর গ্যাস চলে যায়, আসে ইফতারের পর। ইফতার বানাতে পারিনি গত কয়েকদিন। কিনে এনে ইফতার করতেছি।’

শুক্রাবাদের বাসিন্দা আলেয়া আহমেদ বলেন, ‘বিকালে গ্যাস থাকে নামে। ইনডাকশন চুলায় রান্না করছি দুই রোজা। মাগরিবের পরপরই আবার গ্যাস চলে আসে।’

লালমাটিয়া থেকে আজাদ রহমান জানান, ‘প্রায় এক মাস ধরেই দুপুরের পরে প্রায়ই গ্যাস থাকে না। তাই রোজার আগে আগে সিলিন্ডার কিনেছি। এখন দুপুরে গ্যাস যায় আসে ইফতারের পরে। সিলিন্ডারের চুলায় ইফতারের ব্যবস্থা করছি।’

এই রকম নানা অভিযোগের মধ্য দিয়েই কেটেছে রমজানের প্রথম কয়েকদিন। তিতাস জানায়, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ আগের চেয়ে ভালো হলেও সব জায়গায় সমান গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের সমস্যা। যা অচিরেই কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত