খালেদা জিয়ার পঞ্চমবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২২, ২০:২২ | আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ।
এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল। বুধবার (২৩ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ অপু গণমাধ্যমে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চত করেন।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুইটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) শেষ হবে।
গত ১৬ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছিলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিতের আবেদনে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগের শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, দুপুরে আইনমন্ত্রী বলেছেন, জামিন দেয় আদালত। দুই-আড়াই বছর আছে উনার পারিবারিকভাবে একটা দরখাস্ত করা হয়, সেটায় কোনো আইনের উল্লেখ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে এটা আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়।
আনিসুল হক বলেন, আমার মনে হয় এটা আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না। কারণ আগেরবার যেটা দিয়েছিলাম সেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়নি। এটাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না। চিঠি এখনও পড়িনি। এখন পড়ব। আজকেই পাঠিয়ে দেব।
জানা গেছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। পঞ্চমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, ৬ মাস করে চারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ চলতি মেয়াদ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান। সেসময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো- খালেদাকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত