কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কার্যকরী উপায় 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২২, ১৫:০০ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১

সারা পৃথিবী এই মুহূর্তে জ্বালানি সঙ্কটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ওপর পড়ছে। দায়িত্বশীল বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত, জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন এনে যথাসম্ভব বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য জ্বালানি সাশ্রয় করা। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কার্যকরী কিছু উপায় নিচে দেয়া হলো:

ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা

কাপড় ধোয়ার সময় উষ্ণ পানি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। যাই হোক, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারচেয়ে কম তাপমাত্রার পানিতে কাপড় ধোয়ার মাধ্যমে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারি।  

কম ওয়াশিং সাইকেল 

যত কম ওয়াশিং সাইকেল, তত কম বিদ্যুতের ব্যবহার। জ্বালানি সাশ্রয় করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার মত যথেষ্ট পরিমাণ কাপড় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সপ্তাহের ওয়াশিং সাইকেলকে থেকে বারের ভেতর সীমাবদ্ধ রেখে মেশিন ব্যবহার করলে, এটি বিদ্যুৎ ব্যবহারকে অনেক কমিয়ে নিয়ে আসবে।  

দ্রুত কাপড় ধোয়া

কম পরিমাণ কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন হলে তা দ্রুত ধোয়ার চেষ্টা করা। কাপড় ধোয়ার সময়কে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এটি প্রয়োজনের সময় পুনর্ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে। 

পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ রাখা

কাপড় ধোয়া শেষ হলে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে রাখার বিষয়ে আমাদের অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে। যদিও আমাদের ধারণা সাম্প্রতিক সময়ের ওয়াশিং মেশিনগুলো স্বয়ক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছে। আসলে এটি নিজেই বন্ধ হয় না, স্ট্যান্ডবাই মোডে চলে যায়। সাধারণত, আমরা ওয়াশিং মেশিনকে স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখেই আমাদের বাকি কাজ করতে চলে যাই। যাই হোক, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হলে কাজ শেষ হওয়ার পর আমাদের ওয়াশিং মেশিনের মূল সুইচ বন্ধ করে রাখা উচিত।

বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করা

ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ওয়াশিং মেশিনগুলো প্রয়োজনের সময় পাওয়ার কাট করে দিয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তির ওয়াশিং মেশিন কাপড়ের পরিমাণের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে। ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তিতে শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করা হয়, যা মোটরের ঘর্ষণ কমিয়ে এটিকে সহজভাবে চলতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন টেকসই থাকার উপযোগী করে ব্রাশছাড়া মোটর কম সংখ্যাক চলন্ত অংশ দিয়ে তৈরি করা হয় এগুলো। ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ ওয়াশিং মেশিন ক্রয় করার মানে হলো, বিদ্যুৎ অর্থ সাশ্রয়ের দিকে এগিয়ে থাকা। 

ওপরে উল্লেখ করা এসব দিকের প্রতি লক্ষ্য রেখে ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় স্যামসাং একটি যথার্থ বিকল্প হতে পারে। ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি সহ স্যামসাংয়ের ওয়াশিং মেশিন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। ব্রাশের ব্যবহার বাদ দেয়ার মাধ্যমে স্যামসাং ওয়াশিং মেশিন এখন আরও বেশি টেকসই দীর্ঘমেয়াদে সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি, স্যামসাং ওয়াশিং মেশিনে মোটরের ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে ১০ বছরের ওয়্যারেন্টি সুবিধা। 

আপনি যদি একটি যথার্থ ওয়াশিং মেশিনের খোঁজে থাকেন তাহলে আর দেরী না করে নিকটস্থ স্যামসাং স্টোরে গিয়ে ঘুরে আসুন। আপনার ঘরে নিয়ে আসুন জ্বালানি সাশ্রয়ী ওয়াশিং মেশিন মাত্র ২৪৯০০ টাকায়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত