কাউনিয়ায় মানস নদীতে বোরো বীজতলা সবুজের সমারোহ
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৮ | আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৬
কাউনিয়ায় একসময়ের খর¯্রােতা মানাস নদী এখন বোরো বীজতলা তৈরীর বিরান ভুমিতে পরিনত হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আকা বাঁকা মানাস নদীতে চলতি বোরো মৌসুমে সবুজের সমারোহ। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের বীজতলার গালিচা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে কুয়াশার রোদে হিম শীতল বাতাসে মানাস নদীর পাশ দিয়ে হেটে গেলে সবুজ গালিচা দেখে চোখ জুরিয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকরা তাদের আপন মহিমায় মনের মাধুরি মিশিয়ে বোরো ধান চাষ করার লক্ষ্যে বলা চলে মানাস নদী জুরেই ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। প্রতিবছর চারা বীজ সংকট দেখাদেয়, সেই সংকট মোকাবেলায় কৃষকরা এবার মানাস নদীতে পানি না থাকায় চাহিদার চেয়ে বেশী বীজতলা তৈরী করেছে। কৃষকরা আশা করছেন প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না আসলে চলতি মৌসুমে ধানের চারার কোন সংকট হবে না। টেপামধুপুর রাজিব গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, মানস নদীতে এবার খুব সহজেই ধানের বীজতলা তৈরী করা গেছে। কৃষক মনসুর জানান, নদীতে পানি কম থাকায় এবং কাদা থাকায় তেমন কোন খরচ ছারাই বীজতলা তৈরী করা গেছে। বর্তমানে চারাবীজের অবস্থাও ভাল আছে। কৃষি সম্প্রসারন দপ্তর জানান, চলতি মাসে বেশ কয়েকটি শৈত প্রবাহ ও প্রচন্ড কুয়াশার কারনে কিছু বীজতলার ক্ষতির শংকা থাকলেও তেমন কিছু হয়নি। পলিথিন দিয়ে বীজ তলা ঢেকে রাখার পরামর্শ কৃষদের দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আকতার জানান, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমির বিপরিতে বীজতলা তৈরী লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫২ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৪৬৬ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে মানাস নদীতে চাষিরা বেশী বীজতলা তৈরী করেছে। এছারাও কৃষি বিভাগ থেকে সরকারী প্রনোদনা হিসেবে হাইব্রীড ও উপশি ধানের বীজ প্রান্তিক চাষিদের দেয়া হয়েছে। বীজতলা তৈরীতে কৃষদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করছি মাঠে যে পরিমান বোরো চারা বীজ আছে তাতে চারার সংকট হবে না।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত