কাউনিয়ায় বেশী ক্ষতির মুখে পুস্তক ব্যবসায়ীরা, সরকারী প্রনোদনার দাবি

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৫ |  আপডেট  : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭

করোনায় ঝুঁকিছে পৃথিবী। দেশের প্রায় সবক’টি পেশাজীবী শ্রেণি করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। করোনার কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা। করোনায় সকল প্রকাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠন বন্ধ থাকায় পুস্তক ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। ফলে কাউনিয়ার অর্ধশতাধিক পুস্তক ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে চরম সংকটে পড়েছে। লাইব্রেরী বন্ধ ও বেচাকেনা না থাকায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও দিতে পারছেনা পুস্তক ব্যবসায়ীরা। 

সরেজেিমন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে করোনা কালীন সময়ে কম বেশি সকল ধরণের ব্যবসায়ীরা সরকারী প্রনোদনা পেলেও শুধু উপেকি্ষত থেকে যায় পুস্তক ব্যবসায়ীরা। কাউনিয়ার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েও কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। মীরবাগ বাজারের বিসমিল্লাহ লাইব্রেরীর মালিক সহিদুল ইসলাম বলেন লাইব্রেরীর ব্যবসাটি এমনি এক ব্যবসা যা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তো ব্যবসাও বন্ধ। করোনা আর লকডাউনে আমরা নাজেহাল। লাইব্রেরীতে বেচা-বিক্রি না না থাকায় গত ১৬ মাস ধরে কর্মচারীর বেতন ভাতা দিতে না পারায় কর্মচারী লাইব্রেরীতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই দু-তিন দিনে একদিন লাইব্রেরী দোকান খুলে অবসর সময় কাটিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই। উপজেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি ও বিদ্যাসাগর লাইব্রেরীর মালিক সারওয়ার আলম জানান এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক পুস্তক ব্যবসায়ী রয়েছে। পুস্তক ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা চলমান করোনায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ ব্যবসার ক্রেতা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধের পাশাপাশি প্রায় সকল ধরণের পরীক্ষা বন্ধ থাকায় কেউ লাইব্রেরী দোকানের ধারের কাছেও আসেনা। কালে ভদ্রে দু-একটি খাতা কলম ও কিছু স্টেশনারি মালামাল ক্রয়ে দু-একজন ক্রেতার দেখা মিললেও তা দিয়ে ব্যবসা চলেনা। তাই এ ব্যবসার সাথে জড়িত দেড় শতাধিক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান সমিতির ২৬ হাজার সদস্য ও দুই লক্ষাধিক পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান ও প্রণোদনার আবেদন করেছে সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ হোসেন। স্বল্পমেয়াদি হিসেবে জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের তিন মাসের অফিস, শোরুম ও গোডাউন ভাড়া এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। টেপামধুপুর হক লাইব্রেরীর মালিক শামিম জানান করোনার ১ম ও ২য় ঢেউয়ে অনেকে প্রনোদনা পেলেও আমরা পুস্তক ব্যবসায়ীরা কিছু পেলাম না। সরকার এতো টাকা প্রনদনা ঘোষনা করেছে কিন্তু আমাদের ভাগের টা গেল কোথায় ? ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পাচ্ছি না। সরকার আবার নতুন করে লক ডাউন শুরু করায় পুস্তক ব্যবসায়ী ও লাইব্রেরীর কর্মচারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে সরকারী প্রণেদনার আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত