কাউনিয়ায় বৃষ্টিতে অপরূপ সাজে সেজেছে প্রকৃতি 

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৩ |  আপডেট  : ৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫২

ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে আগমন ঘটে চৈত্র মাসের। চৈত্রের দাবদাহে চারিদিকে কেমন যেন খাঁ-খাঁ মানুষ যখন অতিষ্ঠ ঠিক তখন গত রবিবার রাতে একপসলা বৃষ্টি সস্তি এনেদিয়েছে। বৃষ্টিতে ঋতুর বৈচিত্রতায় অপরূপ সাজে সেজেছে প্রকৃতি। রংপুরের কাউনিয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গাছের পাতারা নিয়েছে গাঢ় সবুজের সাজ।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চৈত্রের প্রখর খরদাহে গাছ পালা রাস্তাঘাট ধুলা বালিতে সাদা রুপ ধারন করেছিল, প্রচন্ড ধুলায় রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা হয়েছিল দায়। সেই রুক্ষ পরিবেশ কে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে করেছে অপরূপ। গ্রীষ্মের খরতায় জনজীবন হয়ে ওঠেছিল ঠিক তখনই একপসলা বৃষ্টিই প্রশান্তি এনেদেয়। চৈত্র মানে বসন্তের অপরূপ বৈভব। প্রকৃতির মাতাল আলোড়নের মাস চৈত্র। চৈত্রের ঝরে পড়ে নব-অঙ্কুরিত আমের মুকুল, কচি শাখা, সতেজ পত্রালীতে প্রকৃতি সেজেছে আর নতুন রূপে। দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে ফেটে চৌচির হয়ে পড়ে সবুজ মাঠ-প্রান্তর। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে পানিশূণ্য হয়ে পড়ে জলাশয়। পানির স্তর নেমেগেছে বহু নিচে। একফোটা বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে বৃক্ষরাজি। ঠিক তখনই রহমতের বৃষ্টি দিয়ে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে নব রূপে। অবশেষে অগ্নিদগ্ধ প্রকৃতির ওপর এক পশলা শাস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল কাউনিয়া। রাতে ত্রিশ মিনিটের বৃষ্টিতে ভিজল পুরো শহর-গ্রাম। একপশলা বৃষ্টি যেন সবার মনেই এক প্রশান্তির বার্তা বয়ে আনে। স্বস্তি ফেরে জনজীবনে। কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার বলেন, গত রাতে যে হালকা বৃষ্টি হয়েছে তাতে কৃষকের কোন ক্ষতি হবেনা। বরং পাট চাষের জন্য অনেক উপকার হবে। তবে ভারি বৃষ্টি হলে কৃষকের পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের মাঠে এখনো গম রয়েছে তাদেরকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছে গম কেটে দ্রুত কেটে নিতে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত