দেখার কেউ নেই

কাউনিয়ায় বাঁশের সাঁকোই ৬ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ১৯:৪৪ |  আপডেট  : ৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩০

কাউনিয়ার প্রাননাথ চর গ্রামে চাংড়া এলাকায় মরা তিস্তা নদীর উপর স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ ৬ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। ভোটের আগে চেয়ারম্যান, এমপি পাকা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও নির্মাণ হয়নি ব্রীজ টি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলছে যাতায়াত। শষ্য ভান্ডার খ্যাত এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহনে কৃষকদের কে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। ফসলের ন্যায মূল্যে থেকে বি ত হচ্ছে তারা। চীনের দুঃখ হোয়াং হো আর এ চরা লের ৬ গ্রামের মানুষের দুঃখ হচ্ছে মরা তিস্তার এ শাখা নদীটি। শহীদবাগ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে তিস্তা সতী নদীটি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই এলাকাবাসীর ভরসা আর শুকনা মৌসুমে নদীর বুক চিরে পায়ে হেটে চলাচল করে এলাকার মানুষেরা। 

রাজপুর ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে চাংড়া নামক স্থানে পাকা ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর। ওই স্থানে ব্রীজ না থাকায়, চাংরা, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, পাগলার হাট, দয়াল বাজার, বুদ্ধির বাজার, প্রাননাথ চড় ও সাব্দী গ্রামের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়ত করে। ওই এলাকা গুলো শষ্য ভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত। এ গ্রাম গুলোতে ব্যাপক হারে আলু, ভুট্রা, ধান, পাট, রসুন, মরিচ, পিঁয়াজ, বাদাম, খিরা, শষা সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। 

এসব কৃষি পণ্য হাট বাজারে নিতে হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তকিপল হাট,৭ কিলোমিটার ঘুরে খানসামা হাট ও ১২ কিলোমিটার ঘুরে মীরবাগ হাটে যেতে হয়। অথচ চাংড়ায় পাকা সেতু নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে। সেই সাথে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যে। ওই এলাকার মানুষ নৌকায় পারাপারে দূর্ভোগ কমাতে গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ উত্তোলন করে প্রায় দেড়লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি বাশেঁর সাকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে। সে সাঁকোটির এখন নরবড়ে অবস্থা। চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক আক্তারুল ও ব্যবসায়ী মাইদুল,কৃষক রফিকুল ইসলাম, ছাত্র সাইদুল জানায়, এখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের, কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের কোন আলামত দৃর্শ্যমান নয়। এ ছাড়াও রাজপুর ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে ব্রীজ নির্মাণের স্থানটি হওয়ায় দুই চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে ব্রীজ নির্মাণের উদ্দ্যোগ বার বার ভেস্তে যাচ্ছে। 

রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোফা বলেন শহীদবাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ হান্নান সাহেবের সাথে সমন্বয় করে চাংড়া এলাকায় ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব পঠানো হবে। শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হান্নান জানান আপাতত এখানে ব্রীজ নির্মান করা সম্ভব হবে না তবে খলিলের ঘাট ব্রীজের হবে আশা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামন জেমি জানান, এখানে ব্রীজ নির্মানের আপাতত কোন পরিকল্পনা নাই, তবে মন্ত্রী মহদয়ের সাথে কথা বলে ব্রীজের প্রস্তাব পাঠানোর চেষ্টা করবো। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান, বিষয়টি মন্ত্রী মহদয়কে জানাব। আশা করি তিনি ব্যবস্থা করবেন। এলাকাবাসী ব্রীজনি নির্মানে বাণিজ্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত