কাউনিয়ায় তিস্তা নদীতে মৎস্য শিকারিদের ভীর নদী পাড়ে
প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৩ | আপডেট : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৯
ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত বুধবার দুপর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। বিকেলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীর পানি কমতে থাকে। আর এই পানি কমার সাথে সাথে শতশত মৎস্যজীবি ও সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মাছ ধরতে বিভিন্ন জাল নিয়ে ভীর করে নদী পাড়ে।
সরেজমিনে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে রেল ও সড়ক সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে শতশত মৎস্য শিকারী গুরি গুরি বৃষ্টিকে উপক্ষো করে মনের আনন্দে মাছ ধরছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে তিস্তা নদীর ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু বৈরালি মাছসহ বিভিন্ন দেশী মাছ।। রূপালি মাছের ঝিলিকে এখন হাসছেন তিস্তাপারের জেলেরা। তিস্তা ব্রীজে মাছ ধরতে আসা জয়নাল বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর এ সময়ে নদীর পানি এতটা তলানিতে নামে যে তখন আর মাছ পাওয়া যায় না। গত বুধবার হঠাৎ পানি বাড়ায় জালে বেশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, তিস্তায় বৈরালি ছাড়াও ধরা পড়ছে পুটি, বোয়াল, আইড়, কালবাউশসহ নানা প্রজাতির মাছ। আর এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নদীর পাড় থেকে মাছ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা সরাসরি এসব মাছ সংগ্রহ করছেন জেলেদের কাছ থেকে। গদাই গ্রামের ফুল মিয়া হাজি জানান, বন্যার কথা শুনে সারারাত ঘুমাতে পারেননি। তবে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল পানি সেভাবে বাড়েনি।
কাউনিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীবব সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমরা তিস্তাপাড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছিলাম। তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছিল।নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলে কিছু পানি ঢুকেছিল, এখন সেই পানি নামতে শুরু করেছে। আপাতত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি না। বন্যা হলে আমাদের সব রকম প্রস্তুতি নেয়া আছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত