উজানের পাহাড়ী ঢলে
কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৩৩ | আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩
টানা বৃষ্টি ও ভারতের ছেড়ে দেয়া পানি এবং উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে বৃহস্পতিবার সকালে পানি প্রবল বেগে বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চর গদাই,চর ঢুসমারা, গোপিডান্ডা, পাঞ্জরভাঙ্গা, পূর্ব নিজপাড়া, তালুক সাহবাজ, মধুপুর ইউনিয়নের হরিচরনশর্মা, চর গনাই, চর আজম খাঁ, হয়বত খাঁ, উত্তর বিশ্বনাথ, হারাগাছ ইউনিয়নের চর নাজিরদহ, পল্লীমারী, শহীদবাগ ইউনিয়নের চর প্রাননাথ, মৌলভীবাজার, বুদ্ধির বাজার এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার পরিবার। এর মধ্যে ঢুষমারার চরে পানি বন্দী প্রায় ৩০০ পরিবার। এ গ্রামের মানুষ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির সাথে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর জমির আগাম পাকা ধান ও আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ১০ হেক্টর জমির মরিচ, ৭ হেক্টর জমির চিনাবাদাম, ১৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন শাক সবজি তলিয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঢুষমারা চরের বাসিন্দা কোব্বাত আলী বলেন সবাই তাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেন কিন্তু তাদের দুঃখ দুর্দশার স্থায়ী সমাধানের পথ নিয়ে ভাবেন না। পানিতে ডুবলে সামান্য ত্রাণ নিয়ে আসেন নেতারা, এরপর আর তাদের দেখা মেলেনা। নদী ভাঙ্গন রোধে নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ।
বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনছার আলী ও টেপামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত কিছু ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান গণ তালিকা দিলে পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত