এশিয়াটিক সোসাইটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪ |  আপডেট  : ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩২

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ পাকিস্তান নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ।

এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পিছনে পৃথিবীবিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক জনাব আহমদ হাসান দানী মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন: জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এ.বি.এম.হাবীবুল্লাহ, আব্দুল হালিম, এবং অনেকে। প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন এটি  বিশেষ করে এশিয়া বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।প্রতিষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও ব্যুরো এবং ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে সামাজিক আইনের অধীনে নিবন্ধীকৃত।

আজ তার ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।  বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেছে গবেষণা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণকেন্দ্র খ্যাত বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার নিমতলীতে সোসাইটি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা শুরু হয়। এসময় আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এশিয়াটিক সোসাইটি ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পার করল। আমি প্রত্যাশা করি এশিয়াটিক সোসাইটি জ্ঞানচর্চার বিষয়টি অব্যাহত থাকবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে।

এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির বলেন, শুভদিনে সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমি মনে করি, স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে এশিয়াটিক সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এবং দেশের সুনাম রক্ষা ও গৌরব বয়ে আনতে এশিয়াটিক সোসাইটি ভূমিকা পালন করবে। 

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘ফাউন্ডেশন ডে’ বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহফুজা খানম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. হারুন-অর রশিদ, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক হাবিবা খাতুন, রাষ্ট্রদূত মসউদ মান্না, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পারভেজ সাজ্জাদ, পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হাফিজা খাতুন এবং জবির সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত