এবার সয়াবিন তেলে লিটার প্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৭ আগস্ট ২০২২, ১৪:০৩ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৯

এক দফা দাম বাড়ানোর পর কিছুটা কমলেও ফের সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। প্রস্তাবিত এই দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

চলতি বছর বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ প্রতি লিটার ২০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যা সম্প্রতি দুই দফায় ২০ টাকা কমিয়েছে তেল কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ২১ জুলাই লিটারপ্রতি দর ১৪ টাকা কমানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এখন বলছে, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য বেড়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী কোম্পানি টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আথহার তাসলিম গণমাধ্যমকে জানান, আমদানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। বর্তমানে কত দামে আমদানি হচ্ছে, ডলারের দাম কত পড়ছে, বিশ্ববাজারে দর কত এসব বিবেচনা করে সরকারকে বিষয়টি দেখার আহ্বান জানান তিনি। 

তিনি বলেন, সার্বিক দিক বিচেনা করে সরকার যদি মনে করে দাম বাড়ানো উচিত, তাহলে বাড়াবে। কমানোর সুযোগ থাকলে কমাবে।

উল্লেখ্য, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো ট্যারিফ কমিশনকে প্রস্তাব দেয়। এরপর কমিশন তা পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত হয় তেলের মূল্য। দেশে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির পর পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে। কেউ কেউ সয়াবিন বীজ আমদানি করে তেল উৎপাদন করে।

ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ টন আমদানি হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত