উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: পঞ্চগড়ে বিএনপির তিন কর্মীকে অব্যাহতি

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৬ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ২১:০৫

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রমধাপে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অংশগ্রহণ না করেছে সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড।এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তৃমূলে এ নির্দেশনা ভঙ্গ করলে বহিস্কার সহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দেয়া হয়েছে।তবে এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে দেবনগড় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং তেতুঁলিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া কলস প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া তেঁতুলিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবু সালেহ ইব্রাহিম ইমরান ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

তবে বিএনপি নেতা মুক্তারুল হক মুকু শারিরীক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দলকে সময় দিতে না পারার বিষয়টি জানিয়ে দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

এদিকে শারিরীক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে দলকে সময় দিতে না পারার বিষয়টি জানিয়ে দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে গত ২২ এপ্রিল (সোমবার) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন বিএনপি নেতা সুলতানা রাজিয়া। তবে তেঁতুলিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবু সালেহ ইব্রাহিম ইমরান দল থেকে অব্যাহতি না চাইলেও নির্বাচনে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।এই দুই বিএনপি নেতার অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের বিষয়টি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এবিষয়ে দেবনগড় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদনের বিষয়টি অ¯^ীকার করে বলেন, আমি নিজে আবেদন করিনি, আমার ভাই করেছে। আমি বিএনপির পদ পদবীতে নেই। তারাই আমাকে কমিটিতে রেখেছে। আমি আগেও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। একারণে আমার প্রতি মানুষের ভালবাসা আছে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাথে আমি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকায় তাদের ও জনগণের চাপে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। অসুস্থ হলেও তিনি কেন নির্বাচনে এবিষয়টি জানতে চাইলে এড়িয়ে যান মুকু।তেতুঁলিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন বলেন, মুকু ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছে। তবে স্বাক্ষর করা একটি লিখিত আবেদন তারই ছোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অসুস্থতার কারণ জানিয়ে অব্যাহতির বিষয়টিকে বহিস্কার এড়ানোর কৌশল হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সুলতানা রাজিয়া বলেন, চাইলেও মানুষের ভালবাসা থেকে দূরে সরে যেতে পারিনা। দলের সিদ্ধান্তের বাইরেও যেতে পারিনা। বর্তমানে আমি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছি। মানুষের চাপে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছি। তবে শারিরীকভাবে অসুস্থ হলে নির্বাচনের মাঠে কিভাবে আছেন তা জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসরাম কাচ্চু বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করেছে। কেউ নির্বাচন করলে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে। তবে কেউ দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আসলে দলে তো অব্যাহতি বলতে কোন ভাষা নেই। এটা একটা কৌশলী কথা। তারা অসুস্থ হলে ও পারিবারিক সমস্যা হলে নির্বাচন করছে কিভাবে। মুকু যেহেতু তেতুঁলিয়ার তার বিষয়টি উপজেলা বিএনপি দেখবে। আর সুলতানা রাজিয়ার বিষয়টি জেলা বিএনপি দেখবে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে এলে দলীয় পরামর্শক্রমে বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত