ইরান-আমেরিকার মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৪৯ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল আবারও ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবন বিষয়ক ভিয়েনা সংলাপ পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান শেষে নিজের নিউ ইয়র্ক সফর ও সেখানকার বিভিন্ন সাক্ষাৎ সম্পর্কে লেখা এক নিবন্ধে এ আহ্বান জানান বোরেল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভিয়েনা সংলাপ বন্ধ থাকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা করেছিলেন।
কিন্তু এ ধরনের কোনো বৈঠক না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বোরেল বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে তার তুলনামূলক লম্বা বৈঠক হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে ভিয়েনা সংলাপে প্রত্যাবর্তনের আশ্বাস পাওয়াকে তিনি ওই বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে বর্ণনা করেন।
আমেরিকা অবিলম্বে পরমাণু সমঝোতায় প্রত্যাবর্তন করবে এবং ইরান তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে দেশটির ওপর থেকে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবন বিষয়ক ছয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত জুন মাসে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ওই সংলাপ বন্ধ রয়েছে।
যেসব কারণে ভিয়েনা সংলাপ থেকে ফল বের হয়ে আসছে না তার অন্যতম হচ্ছে ইরানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মার্কিন সিদ্ধান্ত। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন তার কিছু নিষেধাজ্ঞা পরমাণু সমঝোতায় প্রত্যাবর্তনের পরও বহাল রাখতে চায় ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে আমেরিকার বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন বলেছে, পরবর্তী মার্কিন সরকারগুলো এই সমঝোতা থেকে যে বেরিয়ে যাবে না সে সংক্রান্ত নিশ্চয়তা দেয়া বর্তমান প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ইরানের পক্ষে এ ধরনের ভঙ্গুর অবস্থা মেনে অসম্ভব বলে তেহরান জানিয়ে দিয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত