ইরাক থেকে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫০ | আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৭
ইরাক থেকে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইরানপন্থি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইসরায়েলের ইলাত শহরে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে’ ড্রোন হামলার দাবি করেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে যে, তারা দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এটি ইলাত শহরের কাছে ইসরায়েলের জলসীমা অতিক্রম করছিল।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই ড্রোনগুলো পূর্ব দিক থেকে এসেছে। এর আগেও ইরাক থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। সে সময় ইরান-সমর্থিত ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত জুন এবং সেপ্টেম্বরেও ইরাক থেকে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে ড্রোন হামলা চালানো হয়। জুনের শুরুর দিকে বেশ কিছু হামলার খবর পাওয়া যায়। সে সময় সংগঠনটি জানায় যে, তারা দখলদার ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং ধ্বংস করে দেবে।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ইয়েমেন, লেবানন এবং ইরান থেকেও বিভিন্ন সংগঠন ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে। আবার ইসরায়েল থেকেও পাল্টা আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮২ জন। সেখানে আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে দখলদার বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, মসজিদ সবকিছুই যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত