আপনি শিল্পী হলে কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে পারেন না: ফারুকী
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ | আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৮
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষে সরব ছিলেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে তিনি যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সেটি চোখে পড়ার মত। এখনও থেমে নেই এ নির্মাতা। এবার দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সচিত্র প্রকাশ করলেন সবার সামনে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি এর আগেও অনেকবার লিখেছিলাম যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন “সময়” থেকে পুরাপুরি বিচ্ছিন্ন।
আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসাবে খেলতে খেলতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, এবং শর্ট ফিল্ম ফোরাম নতুন প্রজন্মের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।’
তিনি হিটলারের সময় উল্লেখ করে লেখেন,‘একবার ভাবেন, হিটলারের আমলে কোনো শিল্পী হিটলারের মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রতিবাদতো দুরের কথা তার গাছের গোড়ায় পানি ঢাললে তাকে ইতিহাস কি হিসাবে বিচার করতো?
আপনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হতে পারেন, বিএনপি সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু শিল্পী হলে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, গুমের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে পারেন না, ফ্যাসিজমের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করতে পারেন না।
এইবার আপনারা গত ষোলো বছর এই তিনটা সংগঠনের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ভুমিকা কি ছিলো সেটা ভেবে দেখেন।
তার মানে কি এইসব ফুট সোলজারদের আঘাত করতে হবে? বিপ্লবের পক্ষের ভাই-বোনদের অসন্তুষ্টির আশংকা মাথায় নিয়েও বলবো- আমি ব্যক্তিগতভাবে এর বিরুদ্ধে।
ফারুকী আরও লেখেন,‘পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই, খুনীর-লুটপাটকারীর বিচার শুরু হয় নাই, কিন্তু নানা জায়গায় উস্কানী দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা খুনির ফোনালাপ শোনেন। দেখেন সে অনুতপ্ত নাকি আরো খুন করার উস্কানী দিচ্ছে?
বিপ্লবের পরে কুলিং পিরিয়ডটা পার হতে দিতে হয়। নাহলে এই অবস্থায় আমি লিবারাল ক্রিটিকের স্পেস কিভাবে আশা করবো? এর উত্তর আমি জানি না।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত