আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১ জুন ২০২২, ১৪:২৯ | আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯
[ঢাকা, 0১ জুন, ২০২২] জার্মান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী জিআইজেড-এর সহযোগিতায় ‘ট্রেনিং-অব-ট্রেইনার্স (টিওটি) অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট প্রোপোজাল ডেভেলপমেন্ট ফর আক্সেসিং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফান্ডস’ শীর্ষক ছয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
টিওটি এর উদ্দেশ্য ছিলো মানসম্পন্ন জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডি’র ইউএন উইং -এর উইং চিফ যুগ্ম সচিব জনাব কবির আহামদ। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরডি’র উপসচিব জনাব এস. এম. মাহবুব আলম।
জার্মান সরকারের এসডিজি ২০৩০ উদ্যোগের সহায়তায় ইমপ্রুভড কো-অর্ডিনেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) প্রকল্পের অধীনে গত ২৭ মে থেকে ১ জুন ব্র্যাক সিডিএম-এ টিওটি কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। জার্মান ফেডারাল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপেরাশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) আইসিআইসিএফ প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষাবিদ, জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ই-কো. লিমিটেড, ইউকে ও সিথ্রিইআর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর প্রশিক্ষকরা কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
জলবায়ু সঙ্কটের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। জলবায়ু সঙ্কটের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ পরিস্থিতিতে, আসন্ন সংকট মোকাবিলা এবং জটিল পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্য আমাদের আরো জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প সংক্রান্ত প্রস্তাবনা জমা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বাহ্যিক সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের হার এখনও অপর্যাপ্ত। বিভিন্ন স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উৎস থেকে জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহের জন্য এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার।
কর্মশালায় গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) পরিচালনায় ন্যাশনাল ডেজিগনেটেড অথোরিটির (এনডিএ) ভূমিকার পাশাপাশি গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ), গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ), সমন্বিত কার্যক্রম, পারস্পরিক এবং উন্মুক্ত আলোচনা সহ অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড (এএফ) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় ইআরডি’র ইউএন উইং এর উইং চিফ যুগ্ম সচিব জনাব কবির আহামদ বলেন, “শুধু প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়; বরং একটি প্রকল্প প্রস্তাবে কী অন্তর্ভুক্ত করা দরকার, আমরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি এবং কীভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে তা শেখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের উদ্যোগে আমাদের বেসরকারি খাত, বিশেষ করে এনজিও এবং জলবায়ু খাত নিয়ে যারা কাজ করছেন এমন আরও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে।”
ইআরডি’র উপসচিব জনাব এস. এম. মাহবুব আলম বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া। একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করার সময় প্রস্তাবটিকে জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে যাতে অর্থদাতারা বুঝতে পারেন প্রস্তাবনায় উল্লিখিত দাবিগুলো জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
কর্মশালায় জিআইজেড -এর আইসিআইসিএফ প্রকল্পের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার ড. ফেরদৌস আরা হোসেন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এমন প্রেক্ষাপটে, জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরিতে বেসরকারি ও সরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা জোরদার করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।”
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত