আনোয়ারুলের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার কাছাকাছি পৌঁছেছি, শুধু ঘোষণার বাকি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ১৮:১২ | আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:১০
বৃস্পতিবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।ত্রিশালে জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উৎসব শুরু
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নজরুল অডিটোরিয়ামে এ উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল), এ বি এম আনিসুজ্জামান, নিলুফার আনজুম পপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ও স্মারক বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিতা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার বিদ্রোহী অভিব্যক্তি ধর্ম ও রাজনীতির নামে অনমনীয় গোঁড়ামি পর্যন্ত প্রসারিত। জাতীয় কবি ছিলেন বিদ্রোহী বাঙালির প্রতিচ্ছবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নজরুল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নানাদিক দিয়ে করেছেন সমৃদ্ধ এবং মজবুত। কলম বন্দুকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছেন ক্ষুরধার আগুনঝরা লেখনী দ্বারা। তার অসাম্প্রদায়িক জীবনদর্শ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ,শান্তিপূর্ণ, সুখী- সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ বলেন, ‘কবি নজরুল ইসলামের কবিতাগুলো একদিকে যেমন প্রাণচঞ্চল, অন্যদিকে তার বিদ্রোহ চেতনার স্বাক্ষর। তার সংগ্রামী জীবনের গল্প মানবজীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা যোগায়।’
সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল) বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ প্রতিভার নাম। ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ,সাম্প্রদায়িকতা ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের অবস্থান ছিল বলে তাকে ‘বিদ্রোহী’ কবি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। নজরুলের কবিতার মূল বিষবস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। তার সব সাহিত্য কর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট।’
সভাপতির বক্তব্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সাহিত্য সমৃদ্ধে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। একই সঙ্গে তিনি আমাদের সাহিত্যের দিকপাল। তিনি আজীবন অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ,শুষনমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা স্বপ্ন দেখেছেন, দেখিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কবির দেখানো অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন চেতনার ওপর ভিত্তি করে আগামী প্রজন্ম কাজ করে যাবে এটাই প্রত্যাশা।’
এছাড়া সকালে কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে বই মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে এ মাঠে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত