আদমদীঘিতে ভেষজ উদ্ভিদ প্রসাধনীর শরবত বেঁচে সংসার চলে আল আমিনের

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৪, ১৯:২০ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৫

ভেষজ উদ্ভিদ জনস্বাস্থ্যে হিতকর বিভিন্ন প্রকারের হালবাল জাতীয় প্রসাধনীর দিয়ে শরবত বানিয়ে বিক্রি করে সংসার চলে আল আমিন হোসেনের। আল আমিনের বাড়ী পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট জিনইর গ্রামে। আল আমিনের বাবা সংগ্রাম হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে বিভিন্ন হাটে বাজারে হারবাল জাতীয় দ্রব্য বিক্রির পাশাপাশি ঝার ফুকর করিবাজি করে সংসার চালিয়ে আসছে। বাবার পেশাকে কাজে লাগিয়ে আল আমিন প্রায় তিন বছর ধরে আদমদীঘি উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক এর সামনে ফুটপাতে টেবিল বিছিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ ও হারবাল জাতীয় দ্রব্য দিয়ে শরবত বিক্রি করে জীবন সংসার চালানোর পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছে। শরবত বিক্রেতা আল আমিনের সাথে এপ্রতিনিধির কথা হলে সে বলেন,তার বাবা সংগ্রাম হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে হারবাল জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। বাবার এই ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় আমিও প্রায় তিন বছর ধরে এই ব্যবসা শুরু করেছি। বিভিন্ন উপকারী গুনের পাশাপাশি গরম থেকে প্রশান্তি আনতেই প্রতিটি মানুষের শরবত খাওয়া প্রয়োজন। মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শরীরের গরম কমিয়ে শীতলতা সৃষ্টি করতেই ভেষজ উদ্ভিদ ও হারবাল জাতীয় দ্রব্যঘৃতকাঞ্চন, তোকমা, ছিয়াছি, তালকাখনা, আমলকি, হরতকি, বয়রা, কাটবাদাম, কাজুবাদাম, চেরিফল, অর্জনছাল, নাসা, আমের চুন্নু, জামেরচুন্নু, লেবু. বেল, সিএমসি পাউডার সহ নানা ধরনের দ্রব্য দিয়ে বিভিন্ন সাধের শরবত তৈরী করে বিক্রি করি। গরমে মানুষের শরীরের খনিজ পর্দাথ বেরিয়ে যায়। শরীর সুস্থ্য রাখতে প্রচুর পরিমান জল খেতে হয়। কিন্তু জলই যথেষ্ট নয় কেননা শরীরের খনিজের ঘারতি পূরন করতে ভেষজ উদ্ভিদ জনস্বাস্থ্যে হিতকর বিভিন্ন প্রকারের হারবাল জাতীয় প্রসাধনী দিয়ে তৈরী শরবত খেলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীর ও মন দু’টোই ভাল থাকে। তাই প্রতিটি মানুষকে শরবত খাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্ষুদে এই শরবত বিক্রেতা। তার দোকানে প্রতি দিন প্রায় দুই’শত থেকে আড়াই’শত গ্লাস শরবত বিক্রি হয়। এতে প্রতিদিন তার লাভ হয় পাঁচ’শত থেকে সাত’শত টাকা। তার এই রোজগারে ভাল ভাবেই সংসার চলে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত