আদমদীঘিতে বিভিন্ন মামলায় নারী ও ছিনতাইসহ গ্রেফতার-৬
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬
বগুড়ার আদমদীঘিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা ও এন.আই আ্যাক্ট মামলায় আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানামুলে নারীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত রোববার (১৪এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আদমদীঘি থানা পুলিশ জানায়, আদমদীঘি উপজেলার কাশিমালা গ্রামের গোলজার রহমানের স্ত্রী ছালমা খাতুন (৪৫), একই গ্রামের আছলাম আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৩৬), করজবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বুদুন বেগম (৩৬) ও ছাতনী গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান (৬০) কে এন আই অ্যাক্ট মামলায় এবং কোমারপুর গ্রামের ছামছুল খন্দকারের ছেলে দুলু খন্দকার (৫৯) কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সোমবার (১৫) এপ্রিল দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান।
এদিকে বগুড়ার আদমদীঘিতে পাওনা চালের দাম ও টাকা চাওয়ায় আব্দুস সাত্তার (৬০) নামের এক চাতাল ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটে আহত করে তার নিকট থেকে অর্ধ লাকের অধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত মামলায় পুলিশ মমিন (৩০) নামের এজাহারভুক্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর গ্রামের মোঃ বক্সের ছেলে। তিনি বর্তমান ডহরপুর গ্রামে শ^শুর বাড়িতে বসবাস করে। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে কলেজ গেটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আহত চাতাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের ছেলে সজিব খান বাদি হয়ে আদমদীঘি উপজেলার সাগরপুর গ্রামের মো: বাসারের ছেলে নয়ন (২৮) ও কোমারপুর গ্রামের মোঃ বক্সের ছেলে মমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির দারীকুড়ি গ্রামের চাতাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার আদমদীঘিÑ-ছাতিয়ানগ্রাম সড়কের ব্রিজ সংলগ্ন জনৈক আয়েন উদ্দিনের বয়লার (চাতাল) ভাড়া নিয়ে ধান চালের ব্যবসা করে আসছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী নয়ন সম্প্রতি তার নিকট থেকে ২০ কেজি চাল ও ২ হাজার টাকা কর্জ নেয়। সেই কর্জের চাল ও টাকা পরিশোধ না করায় গত ১০ এপ্রিল বেলা ১১ টায় আদমদীঘি ব্রিজ সংলগ্ন কলেজ গেটের সামনে নয়নের কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকার করে। এসময় চাতাল উভয়ের মধ্যে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে নয়ন ও মমিন ক্ষিপ্ত হয়ে চাতাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় লাঠির আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিটে ফোলাজখম করে তার লুঙ্গির ভাঁজে রাখা ৫১ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত আব্দুস সাত্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এদিকে মামলার বাদি সজিব খান বলেন, আসামী গ্রেফতার হওয়ায় অপর পলাতক আসামী নয়নসহ তার লোকজন মামলা তুলে নিয়ে চাপসহ নানা হুমকি দিচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন তিনি। অপর আসামী গ্রেফতার তৎপরতা চলছে বলে মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক তারেক রহমান জানান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত