আদমদীঘিতে অটোরিক্সা মালিক সমিতির দু’পক্ষের বিরোধ চরমে, যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে সংঘর্ষ

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৪, ১৯:২৫ |  আপডেট  : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকায় সংগঠনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়া জেলা বেবিট্রাক্সী ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতির (রেজি নং-রাজঃ ১৪৬২) দুই পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। সম্প্রতি বর্তমান কমিটির সভাপতি নুর ইসলাম আগামী ২০ জুন এবং একই সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান আগামী ১০ জুন পৃথক দুটি স্থানে আলাদা করে সভা আহবান করেছেন। এব্যাপারে বুধবার উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার করে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সংগঠনের সদস্যদের আহবান করা হয়েছে। মালিক পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে। এলাকার মানুষের ধারনা এই বিরোধকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে। গত ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারী এই  সংগঠনের আধিপত্য ধরে রাখার বিরোধকে কেন্দ্র করে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সান্তাহার শহরে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংগঠনের দুই সদস্য শফিকুল ইসলাম ও সোহাগ হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। পরে সান্তাহার শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয় এবং পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুসহ অনেককে কারাবাস করতে হয়। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। গত উপজেলা নির্বাচনে সংগঠনের সভাপতি নুর ইসলামের ছোট ভাই রাশেদুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। নির্বাচনের পর  থেকে এই বিরোধ চরম আকার ধারন করে। 

সংগঠনের সভাপতি নুর ইসলাম বলেন, নির্বাচনে জয়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান হঠাৎ করে সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন এবং সংগঠনের কেউ না হয়েও সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম জোড় করে বন্ধ করে দেন। তিনি সংগঠনের সদস্যদের উসকিয়ে দিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানকে দিয়ে তলবি সভা আহবান করেছেন, যা অসাংবিধানিক ও সংগঠনের নিয়ম বর্হিভূত। তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সাথে আলোচনা করে সভা আহবান করেছি। এদিকে ১২৭ জন মালিক স্বাক্ষরিত একটি পত্র সাংবাদিক সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। সেখানে বর্তমান সভাপতি নুর ইসলামকে সাত দিনের মধ্যে সাধারণ সভা আহবান করা জন্য বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয় নুর ইসলাম ১৫ বছর ধরে অবৈধ ভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন এবং তিনি আয় ব্যয়ের কোন হিসাব দেন না। এ বিষয়ে সভাপতি নুর ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনে সংগঠন চলছে। একটি মহল সংগঠনে বিরোধ তৈরী করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। 

বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে মাহামুদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সংগঠনের কেউ না। সংগঠন কি ভাবে চলবে সেটি তাদের বিষয়। আমি একজন জন-প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদা তোলা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি নুর ইসলামের বিষয়ে বলেন, ওদের গল্প শোনার আমার টাইম নাই, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আর ওই সংগঠনের কোন মেয়াদ নাই ওটা ভ্যানিশ হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত