আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১৫:৪১ |  আপডেট  : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ করেছিল। তবে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ বছরেও দেশের নাগরিকদের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দিন দিন ডিজিটাল বৈষম্য বাড়ছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রসারকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের শুরু হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২৩ অনুযায়ী— দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মাত্র ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ, স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, রেডিও ব্যবহার করেন ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ,  কম্পিউটার ব্যবহার করেন ৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং সরকারি ল্যান্ডফোন ব্যবহার করেন মাত্র ০ দশমিক ৭ শতাংশ নাগরিক। এই জরিপের মাধ্যমেই বোঝা যায় যে দেশের নাগরিকদের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য এখনো চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সফলতাও রয়েছে অনেক। যেমন- মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দৈনিক প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার অনলাইন লেনদেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনলাইন সেবা, ভূমি থেকে শুরু করে সরকারি সব সেবা অনলাইনে যুক্ত করা, দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের হ্যান্ডসেট সংযুক্তি করা।

ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এবং ইন্টারনেটের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে আগামী শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালি করে ওসমানী মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে — ইন্টারনেটের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ এবং  সবার জন্য সাধ্যের মধ্যে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন নিশ্চিত করা।

 

সান
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত