আজ বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১১:১২ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৬
আজ বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস। অস্টিওপরোসিস হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ। অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধ, নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গড়তে প্রতি বছর ২০ অক্টোবর সারা বিশ্বব্যাপী বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস পালন করা হয়। সর্বসাধারণকে হাড় ও পেশীর স্বাস্থ্য রক্ষায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে এবং স্বাস্থ্য-কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদেরকে অন্যদের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্বে উদ্বুদ্ধ করতে এই দিনটির উদযাপন।
বিশ্বে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিকারের চেয়ে এ রোগে প্রতিরোধই উত্তম। এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘স্টেপ আপ ফর বোন হেলথ’। অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বলতে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বোঝায়।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ অস্টিওপরোসিসের শিকার। পঞ্চাশোর্ধ নারীদের প্রতি তিন জনে একজন এবং পুরুষদের প্রতি পাঁচজনে একজন ভুগছেন এই রোগে।
সাধারণত সুষম খাদ্যের অভাব, এজমা, অলস জীবনযাপন, স্টেরয়েড জাতীয় ড্রাগের অতিব্যাবহার, মদ্যপান, ধূমপানের কারণে কিংবা বংশ পরম্পরায় এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় মানুষ। নীরব ঘাতক অস্টিওপরোসিসের কোন লক্ষণ দেখা যায় না। কেবলমাত্র আক্রান্ত হওয়ার পরেই তা ধরা পড়ে। তাই এ রোগে চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতাই বেশি জরুরি।
অস্টিওপরোসিস রোগ হয়েছে কিনা তা হাড়ের কোষগুলোর ক্ষয়ের মাধ্যমে বোঝা যায়| এক্ষেত্রে হাড় ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যায় যা বিশেষত: মেরুদণ্ড, নিতম্ব এবং কব্জির হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে।পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অস্টিওপরোসিস রোগ হওয়ার বেশী ঝুঁকি থাকে বিশেষত: ৫০ বছর বয়সের পরে। তাই নিজের হাড়ের যত্ন নিন সুস্থ্য থাকুন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত