আজও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের গাদাগাদি

  শফিক স্বপন, মাদারীপুর 

প্রকাশ: ৭ আগস্ট ২০২১, ১৫:১৪ |  আপডেট  : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাদারীপুরেরে বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে আজও রাজধানীতে  ফিরছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। যাত্রীদের গাদাগাদিতে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উধাও ফেরীগুলোতে।

শনিবার (৭ আগষ্ট) সকাল থেকেই বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া  নৌরুটের দুই পাশের ঘাট থেকে আসা-যাওয়া করা ফেরিতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচলের পাশাপাশি শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলো পারাপার হচ্ছে।তবে যাত্রীদের চাপে জরুরী পন্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপারে হিমসিম খাচ্ছে। ঘাট এলাকায় এখনো ৪ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে ঘাট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও যাত্রীরা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছেন।এছাড়াও বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায়  টহলের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে,সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে  ঢাকামুখী যাত্রীরা ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ভেঙে ভেঙে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে।তাদের অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া ও জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতের বিষয়টিকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে জানাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকা ছেড়ে অনেকে নানা উপায়ে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন।এসময় গন্তব্য যেতে  তাদের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গুনতে হচ্ছে  তিনগুন ভাড়া।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আগত শাহ পরান ফেরীর যাত্রী রনি বলেন,  ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় মেসে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।অনেক দিন বাড়ি ছিলাম।বাড়িতে তেমন পড়াশুনা হয়না।তাই অধিক ভাড়া দিয়ে ব্যাটারী চালিত অটো বাইকে  ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যও ঘাটে এসেছি।

বরিশালের প্রানী সম্পদ অফিসে কর্মরত শাহ পরান ফেরীর যাত্রী মতিউর রহমান বলেন,জরুরি প্রয়োজনে অফিসের কাজে ঢাকা যাচ্ছি। যেখানে ১৮০ টাকা দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসতাম,আর এখন এই পর্যন্ত ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে ৪৬০ টাকা খরচ।বাকি পথতো আছেই"

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে সীমিত আকারে ১০ টি ফেরি দিয়ে এই রুটে জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই সুযোগে যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল উঠছে। তবে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।ফেরিতে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের বিষয় প্রশাসন দেখে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত