আগুনে পুড়ে সব শেষ - মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিবাসীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৩ |  আপডেট  : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে দুপুর ২টায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ফলে পুরোপুরি পুড়ে গেছে প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশটির বেশি ঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

আগুনের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার। তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে মিরপুর ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লাগার সংবাদ পাই আমরা। বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে দুপুর ২টায়। আমাদের ৮টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। কিন্তু নিঃস্ব হয়ে গেছে বস্তিবাসী। ‘আমার ঘরের কিছুই বাঁচাতে পারিনি। আগুনে পুড়ে সব শেষ। একেবারে পথে বসে গেলাম। নিঃস্ব হয়ে গেলাম। গায়ের কাপড়টা ছাড়া আর কিছুই নেই। এখন আমি কী করব’— বলে বিলাপ করছে তারা।  শিমু আক্তার নামের এক নারী বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। আমার এই বস্তিতে পাঁচটি ঘর ছিল। আগুন লাগার খবর শুনে তাড়াতাড়ি ছুটে এসেছি। এসে দেখি কিছুই নেই। আমার সারা জীবনের কষ্ট দিয়ে গড়া সব জিনিসপত্র ও স্বর্ণের গয়না পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি পথের ফকির হয়ে গেছি। শুধু মুরগির দুটি খাঁচা বের করতে পেরেছি। আমার জীবনের সব আশা-ভরসা শেষ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, মিরপুর ১২ নম্বরের ঝিল পাড় বস্তিতে আমরা দুপুরে আগুন লাগার খবর পাই। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় থানাসহ আশপাশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এখানে আনা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে এনে তাদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। দুপুর ২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সুন্দর রয়েছে। এরপরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরপরও তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে। 

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত