আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩

বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভের সাথে যুক্ত হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অন্যান্য ঋণের আরও ৬২ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে রিজার্ভে যুক্ত হবে ১৩১ কোটি ডলার।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বোর্ড সভায় অনুমতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে দেওয়া হয় এ অনুমতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দেশের রিজার্ভ ছিল ২৪.৬২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের ঋণ যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৩১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব করা হলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ১৯.৮৫ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়াও চলতি মাস ডিসেম্বরে এডিবির ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়ার ৯ কোটি ডলারসহ অন্যান্য সোর্স থেকে আরও ১৩ কোটি ডলার আসবে।

আর এসব অর্থের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) কিছুটা বাড়বে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে রিজার্ভে যোগ হবে এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ পরিমাণগত পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়ার তিনটি বিষয়ের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া বাকি দুটি অর্জন করেছে। এ দুটি শর্ত সরকারের বাজেট ঘাটতি এবং সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত। চারটি ইন্ডিকেটিভ টার্গেটের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া বাকি তিনটি পূরণ করেছে। এই তিনটি সরকারের সামাজিক ব্যয়, মূলধনী বিনিয়োগ এবং মুদ্রা সরবরাহ সংক্রান্ত শর্ত। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনসহ কাঠামোগত সংস্কারের বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত