অভিযোগ দিতে ট্রাইব্যুনালে শিবির নেতারা
প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৫০ | আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪০
অভিযোগ দায়ের করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দারস্থ হয়েছেন গুম ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে অভিযোগ দিতে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন তারা।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমানুল্লাহ আল জিহাদী (আদীব) জানান, ছাত্রশিবিরের যাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গুম করার কয়েকদিন পর গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল এমন কয়েকজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে এসেছেন। অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে বিফ্রিং করা হবে।
জিহাদী আরও জানান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপরে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা রেজিমে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছে। জয়পুরহাট ও যশোরে ছাত্র শিবিরের পা হারানো চারজন সাবেক নেতা আজ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। যাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গুম করার কয়েকদিন পর গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল।
তারা হলেন- ২০১৫ সালের জয়পুরহাট জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু জর গিফারী, একই জেলার সেক্রেটারি ওমর আলী, যশোর জেলা পশ্চিমের চৌগাছা থানার সেক্রেটারি ইসরাফিল হোসাইন ও চৌগাছা থানার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন। প্রত্যেককে গুলি করার পর বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখায় পায়ে পচন ধরায় পা কেটে ফেলতে হয়েছিল।
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার পর ইসলামী ছাত্র শিবিরের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সাংগঠনিক কাজে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু জর গিফারী, একই জেলার সেক্রেটারি ওমর আলী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন হানিফ বাসে। আব্দুল্লাহপুর নামার পরই সাদাপোশাকে র্যাব পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে তাদের উত্তরা র্যাব ক্যাম্পে নেওয়া হয়। তাদের সেখানে এক সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের নামে চরম নির্যাতন করা হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর তাদেরকে নেওয়া হয় রাজশাহী র্যাব ক্যাম্পে। সেখানেও তাদের ওপরে জুলুম নির্যাতন চালানো হয়। আবার সেখান থেকে ১৬ ডিসেম্বর রাতে নেওয়া হয় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে। সেখানে চলে চরম নির্যাতন। এরপর তাদের স্থানান্তর করা হয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায়। সেখানে নিয়ে তাদেরকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই রাতেই গহিন অরণ্যে নিয়ে নীরবে নিবৃতে দুজনের পায়ে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে তারপর বগুড়া ও ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পঙ্গু হাসপাতালে অপারেশন এরপর আবার হৃদ্রোগ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের পায়ে পচন ধরে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে তাদের পা কেটে ফেলা হয় যাদেরকে আপনারা স্বচক্ষে দেখছেন।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত