অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই, উদ্বেগের বিষয় হলো ঈদের বাজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৬ মে ২০২১, ২০:০৮ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০

শপিং মল থেকে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে পারে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো ঈদের বাজার। এখন অনেকেই ছেলমেয়েদের নিয়ে পরিবারসহ ঈদের মার্কেট করতে যাচ্ছেন। শপিং মলে ভিড়ের কারণে ভয়াবহ হতে পারে করোনা।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত কোভিড-১৯ ২য় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের কথা চিন্ত করে খুলে দিয়েছে মার্কেট এখন আপনারা নিজেদের নিরাপদে রাখার নিজেদের দায়িত্ব। মার্কেটে থেকে আমরা বিরত থাকবো তা না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনবো। মার্কেটের ভিড় করার জন্য সংক্রমণ বাড়বে। আনন্দ যেন আমাদের জন্য ট্রাজেডি ডেকে নিয়ে না আসে এ বিষয়টি সবাইকে খেয়ার রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ অক্সিজেন নিয়ে সবার মধ্যে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশে বর্তমানে অক্সিজেন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশে। অক্সিজেনর কোনো ঘাটতি নেই।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার মূল চিকিৎসা হলো অক্সিজেন। আমরা সারা দেশে ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের অবস্থা করেছি। আমাদের লিকুইড অক্সিজেন তৈরির ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশে ১৭৫ টন অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। মোট ২১৫ টন অক্সিজেন তৈরির ক্যাপাসিটি আছে। সামনে ২৭০ টন অক্সিজেন তৈরির ব্যবস্থা এখন আছে।

কভিডকালীনে ৭০ থেকে ৮০ অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।যদি করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে না ছড়ায় তাহলে অক্সিজেন নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। তবে একটা বিষয় হলো- ভারতের করোনা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় ভার‍ত আমাদেরকে অক্সিজেন বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত থেকে এখন অক্সিজেন আনার সুযোগ নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ৯০০ টন অক্সিজেন স্টক রয়েছে। সরকার অক্সিজেন জেনারেটর নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবকিছুর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে অল্প বেড থেকে ১২ থেকে ১৩ হাজার কোভিড বেড তৈরি করা হয়েছে। ৪০০ ল্যাব কাজ করছে। ১৬ হাজার বেড সেন্ট্রাল অক্সিজেন আওতায় আছে। ন্যাজাল ক্যানলা ছিল না আমরা তরিৎ গতিতে ৩০০ হাজার ক্যানলা নিয়ে এসেছি। আমাদের প্রায় ৪ হাজার ডাক্তার টেলিমিডিস।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু মিয়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য হাসপাতাল প্রতিনিধিবৃন্দ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত