অক্সফোর্ডের টিকার ৬ কোটি ডোজ ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৫ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ১১:২৩

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকার ৬ কোটি ডোজ ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশগুলো যখন টিকার জন্য হাহাকার করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র টিকা মজুত করে রেখেছে—এমন সমালোচনার মধ্যে বাইডেন প্রশাসন এ কথা জানাল।

সোমবার হোয়াইট হাউসের কোভিড-১৯ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিট টুইট বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রাপ্যতার ভিত্তিতে অন্যান্য দেশগুলোয় ৬ কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা ছাড় করবে।

 রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে এসব টিকা ছাড় করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি করোনার টিকা ছাড় করার এ উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত মার্চে জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, কানাডা ও মেক্সিকোয় ৪০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা পাঠাবে ওয়াশিংটন। এখন নিজস্ব মজুত থেকে ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলোয় টিকা পাঠাতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে টিকা ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের কোভিড-১৯  বিষয়ক সমন্বয়ক জেফ জিয়েন্টস জানিয়েছেন, ছাড় করার জন্য ১ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রস্তুত রয়েছে। এফডিএ অনুমতি দিলেই ছাড় করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপরে এক বছরের বেশি সময়ে বিশ্বে ১৪ কোটি ৭২ লাখের বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ লাখের বেশি।

করোনার সংক্রমণের পরিসংখ্যান নিয়মিত হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য বলছে, আজ রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ও মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে সোয়া তিন কোটির বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরপরে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় পর পর রয়েছে ভারত (১,৭৬,২৫,৭৩৫) ও ব্রাজিল (১,৪৩,৪০,৭৮৭)। আর মৃতের সংখ্যার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে ব্রাজিল (৩,৯০,৯২৫) ও মেক্সিকো (২,১৪,৯৪৭)। আর ভারতে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৮০ জন। অন্যদিকে মেক্সিকোয় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৯১ জন। তবে ভারতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যে সংখ্যক মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে, তা বিশ্বে একক কোনো দেশে একদিনে আক্রান্তের রেকর্ড করছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত