১০ ডিসেম্বর গেলো, শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়া বিএনপি কিছুই করতে পারেনি: সেতুমন্ত্রী
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৩৭ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর গেলো, শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়া তারা (বিএনপি) কিছুই করতে পারেনি। ১০ দফা দাবি দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন কোনও দাবি নেই। তারা আন্দোলনে হেরেছে। এর মানে নির্বাচনেও হারবে। বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে; তারা হেরেছে। এরপর সেমিফাইনাল, নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা। সব খেলায় বিএনপি হারবে।’
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ৭ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশে পাঁচ মাসের রিজার্ভ মজুত আছে। তিন মাসের রিজার্ভ জমা থাকলেই দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে। সেখানে পাঁচ মাসের রিজার্ভ মানে দেশে কোনও সংকট নেই।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ছয় জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গায় আগত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তদন্ত করে দেখবেন।’
ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে সেগুলোতে মানার মতো কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা; এরপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে মেনে নেওয়ার মতো কোনো দাবি আছে কিনা।সেতুমন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেওয়ার ছক একে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে কাদের বলেন, বিএনপির সংসদরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই বুঝতে পারবেন।
চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর ইসলাম আজাদ, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদ প্রত্যাশী, নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে রাজাকারমুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গড়ার আহ্বান তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
সবশেষ ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজকের সম্মেলনে ২১৮ জন কাউন্সিলরের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঘোষণা হবে নতুন কমিটি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত