মুন্সীগঞ্জের লঞ্চের ভিতরে দুই তরুণীকে মারধর সহ ভাংচুরের ঘটনায় আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৮:১৩ | আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ২২:৩৩

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতির থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান (২৪) নামের একজনকে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার (১২ মে) মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১এ আসামি জিহাদকে হাজির করলে দুপুর ১ টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির এসআই ইমরান আহমেদ এর উপস্থিতিতে রিমান্ডের আবেদন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি জিহাদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে। এর আগে গেলো রবিবার (১১ মে) জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান এর বিরুদ্ধে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ আদালতে আনা হলে ওই আদালতের বিচারক আজ সোমবার রিমান্ডের আবেদন শুনানীর তারিখ ধার্য করা সহ আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গেলো শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে যাত্রাবিরতির থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধে মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অপরাধে প্রেক্ষিতে মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মিলন বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা সহ পেনাল কোডের অন্যান্য ধারায় মুন্সীগঞ্জ থানায় জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় গেলো শনিবার দুপুরে আসামি নেহাল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন পুলিশ তাকে আটক দেখায়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম রোববার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার ১৯-২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার আমরা জিহাদকে থানায় আসতে বলি। সে থানায় আসলে তাকে আটক করি। ঘটনার মামলা করার জন্য ওই তরুণীদের ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিতে বলা হলে তারা থানায় আসেনি। সব শেষ রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌপুলিশ বাদি হয়ে মারধর, লঞ্চ ভাঙচুর এবং লঞ্চে লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছে। মামলায় একজনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে। নেহাল আহমেদকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চের মারধরের ঘটনায় আটক নেহাল আহমেদ অনুতপ্ত হয়ে তিনি বলেছেন, তাঁর ভুল সে বুঝতে পরেছে, আইনের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। তাই নিজেই থানায় গিয়েছিলেন। নেহাল আরো বলেন, তরুণীদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচাতে বড় ভাই হিসেবে শাসন করেছিলেন। আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান নামের এক আসামিকে গতকাল রবিবার আদালতে আনা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে উঠালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত