হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের
'বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক, তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে'
প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৯ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনার সরকার সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা। তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কীভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন। এগুলো এ দেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা আমরা আজও জানি না। কোনো দিন জানা যাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূল ভিত্তি। তিনি বলেছেন, শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা। আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রক্রিয়া পদে পদে বাধার মুখে রয়েছে। কণ্টকাকীর্ণ পথ। এখানে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল ঘটেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই শুরু করেন। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত