বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভারত সহায়তা করবে: মির্জা ফখরুল  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:২৮ |  আপডেট  : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০

বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভারত সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, অবশ্যই ভারতের সঙ্গেও বন্ধুত্ব চাই। আমরা মনে করি, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। আশা করি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল যে ভারত, তারা অবশ্যই এদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, যে লড়াই তাতেও সহযোগিতা করবে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতিঝিল-পল্টন-শাহজাহানপুর থানার যৌথ উগ্যোগে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ভাবলাম, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারতে গেছেন। আমাদের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির সমাধান হবে, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আমরা পাব, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। আমাদের যে বাণিজ্যে ব্যবধান আছে তা কমে আসবে। আমাদের আরও সুযোগ-সুবিধা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে আসতে পারবেন। তিনিও যে আশা নিয়ে গিয়েছিলেন, ভারত সেগুলো দিয়ে দেবে।   ভারত তো এখন তাদের ওপর খুশি নয়। নৃত্যগীতে ভরপুর একটা সফর দিয়েছেন, সফরটা নৃত্যগীতে ভরপুর ছিল। আমার দেশের মানুষ যখন মারা যাচ্ছে, যখন গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, যখন মাকে তার সন্তান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তখন তারা জয়পুর বিমানবন্দরে গিয়ে নাচানাচি করছেন। এই দেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবে না।

কারণ গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে আমরা ওটাই আশা করি। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের ভালোবাসা না নিয়ে, এদেশের মানুষের সমর্থন না নিয়ে এখানে কেউ কখনো কিছু করতে পারবে না। তাই আজকে যে ভয়াবহ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে... তাদের সরাতে হলে আমাদেরকে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ওদেরকে সরিয়ে এখানে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপরে পুলিশের গুলি করার ঘটনাকে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে সরকারের এহেন কর্মকাণ্ড এবং দেশের আর্থিক খাতে ক্ষমতাসীনদের খাশ লোকদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব টাকা দুর্নীতিবাজরা লুট করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন ব্যাংকে টাকা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। গত মাস থেকে যে আন্দোলন শুরু করেছি তা চলছে। আমাদের এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। ঢাকা মহানগরীর ১৬ স্পটে বা জোনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ আমরা করব, যা শুরু হয়েছে আজকের এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে। ২৭ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন জোনে এই সমাবেশ কর্মসূচি হবে। এরপর আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেশজুড়ে আমরা দেব। আসুন, আমরা এই কর্মসূচিতে শরিক হই এবং একযোগে আওয়াজ তুলি- ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে রাজপথে। টেক ব্যাক, টেক ব্যাক, বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে সিকদার কাদিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ শাহবাগ-পল্টন-মতিঝিল থানা ও মহাগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত