গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে
প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:২০ | আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭
তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা বাংলাদেশের কত টাকা পাচার করেছে শেখ হাসিনা খতিয়ে দেখছেন।কাদের আরও বলেন, এই টাকা উদ্ধার করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে ৭ দিন আগে থেকে প্রচার করে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সরকার বাধা দিচ্ছে। আর কাঁথা-বালিশ, হাড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, সঙ্গে টাকার বস্তা এবং মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশস্থলে যায়। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি! পরিবহনও বন্ধ ছিল না। ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ তারিখে এসেছে। শুধু বিএনপির সমাবেশ করার স্বার্থে শেখ হাসিনা এটা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল, মুক্তিবাহনী, মিত্রবাহিনীর কাছে যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না—মুক্তিযুদ্ধকে আসলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলে এদের অন্তরে জ্বালা, মুখে বলে না।
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ফখরুলের মুখে মধু অন্তরে বিষ। অনুমতি চেয়েছেন, অনুমতি দিয়েছে। আপনাদের সমাবেশে কেউ ডিসটার্ব করবে না। আমরা রাজশাহীতেও বলে দিয়েছি, পরিবহন ধর্মঘট যেন না করে। ঢাকাতেও পরিবহন ধর্মঘট হবে না। এরপর যদি বাড়াবাড়ি করেন, আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন, তাহলে খবর আছে।
খেলা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি আমরা করবো না। আমরা শান্তি চাই। আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতায় থেকে আমরা কেন অশান্তি সৃষ্টি করবো! মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবে? আমরা তো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। অশান্তি হলে তো আমাদের সেখানে মাথা ঘামাতে হবে।
বিএনপিকে আবারও বলতে চাই, পরবর্তী নির্বাচনে আসুন। ফখরুল গতকাল সরকারকে সেফ এক্সিট নিতে বলেছে। আমি বলতে চাই, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁক-ডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই, বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞার জন্য আজকে আমরা একটু বিপদে আছি। মানুষ কষ্টে আছে। অভাবি মানুষ, সাধারণ মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন। চেষ্টা করছেন তিনি। এখনো বাংলাদেশে সোমালিয়া-সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনো আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। এত সৎ মানুষ পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর একজনও আসেনি। এত সাহসী রাজনীতিক আর একজনও নেই। এই বাংলায় তার মতো ত্যাগী, বিচক্ষণ, দক্ষ প্রশাসক আর একজনও আসেনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত