গ্রাম বাংলায় ঋতু বৈচিত্র্যে পালাবদল

কাউনিয়ায় চলছে পাতা ঝড়ার দিন......................!

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩২ |  আপডেট  : ১ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৫

কবি আবুল হাসানের ভাষায়, ও ঝরা পাতা ও ঝরা পাতা গো, তোমার সাথে আমার রাত পোহানো কথাগো, তোমার সাথে আমার দিন কাটানো কথা। শীতের হিম বাতাস ফিরে যাওয়ার পালা। জানিয়ে দিচ্ছে বাংলার ফাল্গুনের অপার রূপ বৈচিত্র। সামনেই চৈত্র। রংপুরের কাউনিয়ায় গ্রাম গুলোতে প্রকৃতির বিরুপ প্রভাবে চির চেনা সবুজের সমারহ হারাতে বসেছে। সবুজ পাতা ফিকে হলুদ পরে ধারণ করছে খয়েরি রং। গাছ থেকে টুপটাপ ঝরে পড়ছে শুকনো পাতা। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বাড়িতে বাড়িতে চিরচেনা এই চিত্রপট এখন। ইট-পাথরের নগরের কী অবস্থা? গ্রাম গুলোতে বিবর্ণতার ছোঁয়ায় যেন বিষাদ প্রকৃতি। খর তাপে মাঠ ঘাট ক্ষেত, নদী-নালা পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। ঠিক ভাবে পানি শোষন করতে না পারায় গাছের ডালের পাতা ঝড়ে গাছ পাতা শুন্য হয়ে পড়েছে। বসন্ত বেলার মাতাল সমীরণে ধূলা ওড়ছে। তারই মাঝে পাতা কুড়ানীরা মনে আনন্দে পাতা কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে বড় বড় গাছ গুলোর পাতা ঝড়ে মৃত প্রায় মনে হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও  সড়কের গাছগুলোর দিকে তাকালেই মনে হয় পাতা ঝড়ার দিন চলছে। অনেকে বলছেন জীবনের প্রতিটা দিনই অনেকটা ঝরা পাতার মত, যা আর জীবনে ফিরে আসে না। পাতা ঝরে যাওয়ায় প্রকৃতির মন কি বিষন্ন? তা নয় কিন্তু। বৃক্ষ তার আপন নিয়মেই ফি বছর পুরানো পাতা ঝরিয়ে নিজেকে নতুন পাতায় সাজিয়ে নেয়। প্রশান্তি এনে দেয় ছায়া দিয়ে। নতুনের অবগাহনে সুসজ্জিত করার আগের পালাবদল পর্ব এটা। নতুন পত্রপল্লবে আবার সুশোভিত হবে বৃক্ষরাজি। কবির কন্ঠে শোনা যায় ঝরা পাতা উড়িয়ে নিয়ে যাক, সমস্ত মন খারাপের রেশ, আর বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যাক যত গ্লানি, রোদ্দুর দিয়ে যাক এক নতুন আলোয় ভরা জীবন। মাঠের কৃষক বসন্তের চেনারূপ দেখছে। মাঠে বোরো চারা রোপণের মৌসুম শেষ হওয়ার পথে। বসন্তের বাউরি বাতাসের আমেজ বুঝতে পারছে। বাতাস বইলে স্বগোক্তি করে চৈত্রের রুক্ষè দিনের কথা। প্রকৃতিতে ফাল্গুনের ধারা এমনিভাবেই বয়ে যায়। দীর্ঘদিন থেকে কাউনিয়া উপজেলা বৃষ্টির দেখা নেই। আনেকে বলেছেন এই হচ্ছে প্রকৃতির খেয়াল।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত