ঢাকার সন্ত্রাসীদের ধরতে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৫ |  আপডেট  : ১ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪৭

মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশন’ চালানো হবে। আমরা যেমন সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে চাই, তেমন অপরাধীদের জন্য হতে চাই আতঙ্ক। এই মূলনীতি নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শনিবার (০১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি। তাছাড়া ছোট-বড় যেকোনো অপরাধ ও অপরাধীর ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করেছে ডিবি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বলেন, আমাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে চুরি ছিনতাই ডাকাতির সাথে যারা যুক্ত হচ্ছে তাদের বেশির ভাগের বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। এদের অনেকেই কিশোর গ্যাং। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কিছু ফ্যাসিস্ট পতিত রাজনৈতিক শক্তি তাদের ইন্ধন দিয়ে অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনী সারাদেশে তৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও মাঠে আছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, ছোট অপরাধ বড় অপরাধের জন্ম দেয়। তাই যে কোনো অপরাধ ও অপরাধীর ক্ষেত্রে আমরা নিয়েছি জিরো টলারেন্স নীতি। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে ডিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমাজকে মাদকের থাবা থেকে রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত পরিচালনা করা হচ্ছে মাদক বিরোধী অভিযান। চিহ্নিত সন্ত্রাসী হোক বা যেকোনো অপরাধীই হোক ডিবির জালে তাদের ধরা পড়তেই হবে। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে এদেরকে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে নগরবাসী যেন নিরাপদে ইবাদত বন্দেগী করতে পারেন সেজন্য ডিবির কার্যক্রম আরও বেগবান করা হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি নগরবাসী এসময় অধিকতর নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশে থাকবেন। যেকোনো প্রয়োজনে ডিবি আপনাদের পাশে রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক নগরবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মনিয়োগ করবো। এ দেশ আপনার আমার সকলের। দেশে শান্তি থাকলে শান্তি থাকবে জনমনে। দেশকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনসাধারণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, রোজার সময় মানুষের কর্মযজ্ঞ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন বেশি হয়। শপিংমল, ব্যাংক, বীমাগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও সদরঘাটসহ অন্যান্য জায়গাতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। এসব জায়গায় কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি দূরের যাত্রাপথ বিশেষ করে বাসে কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আমরা আগে থেকেই ডিবির তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।

এ সময় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার-দক্ষিণ)  সৈয়দ হারুন অর রশীদ ও উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, পিপিএম-সেবাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত