সময়ের পরিবর্তনে আদমদীঘির বাবলু আজ রাস্তা'র ভিক্ষুক
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩৪ | আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২২:০৫
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনেরও পরিবর্তন ঘটে। এমনই পরিবর্তন ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের গোড়গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম সরদার বাবলু'র জীবনে। এক সময় সংসারে স্বচ্ছলতা, হাসি আনন্দ সব কিছুই ছিল তার সংসারে। এখন আর তার জীবনে কোনোটিই নেই। অবাক হলেও সত্য প্রাপ্ত বয়সে অদম্য শক্তিতে রোজগার করে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ সংসার চালিয়েছে বাবলু। সময়ের পরিবর্তে আর বয়সের ভারে কর্মক্ষমতা হারিয়ে আজ সে রাস্তায় শুয়ে ভিক্ষা করছে। বাবলু’র বাবা আব্দুল জলিল মারা যাবার পর তার বাবার রেখে যাওয়া সামান্য কিছু জমিতে ফসল ফলিয়ে আর অন্যের বাড়ীতে কৃষি কাজ করে স্ত্রী বিউটি বেগম আর এক ছেলেকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে সংসার চলতো তার। জীবনের সকল উপার্জনের বিনিময়ে ছেলেকে বড় করে তোলেন বাবলু। এক পর্যায়ে বাবলু তার ছেলেকে দিয়ে দেন। ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পরেই পৃথক হয়ে যায় ছেলে। এরপর নেমে আসে বাবলুর জীবনের করুণ পরিনতি। বয়েসের ভারে অক্ষম বাবলু কাজও করতে পারেনা। এক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ভিক্ষার পথ বেছে নেয় বাবলু। মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে স্ত্রী বিউটি বেগমকে নিয়ে চলতে থাকে তার জীবন সংসার। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে শারীরিক অক্ষমতা ও অসুস্থতার কারণে আর পথ চলতে পারে না বাবলু। জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে অবশেষে শেষ বয়সে স্ত্রীর সহায়তায় আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিসমিল্লাহ হোটেলের পাশে রাস্তায় শুয়ে পথচারীদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে যে টুকু সাহায্য পায় তা দিয়ে কোন রকমে স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে পড়ে চলছে তাদের জীবন। ধর্মীয় দ্বায়িত্ব, সহানুভূতি আর মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো যে কটা দিন বাবলু বেঁচে থাকবে অন্তত সে কটা দিন খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে সে। সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আকুল আবেদন জানান, এই নূয়ে পড়া বাবলু। যারা এসব অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করে আসলে তারাই সত্যিকারের মানুষ। আসুন আমরা সবাই মিলে এই অসহায় মানুষটি'র পাশে দাঁড়াতে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত